Advertisment

পরিস্থিতি ভয়াবহ, সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের, জারি নির্দেশিকা

নির্দেশিকা লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
corona guidelines west bengal

রক্তচক্ষু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। রাজ্যের পরিস্থিতিও তার ব্যতিক্রম নয়। এই অবস্থায় সংক্রমণে লাগাম দিতে সাধারণ মানুষকে নিয়মে বাঁধতে না পারলে যে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে,তা বুঝেই ফের কড়া পদক্ষেপের পথে প্রশাসন৷ সংক্রমণের হার কমাতে নবান্নের তরফে জারি করা হয়েছে ১০ দফা নির্দেশিকা।

Advertisment

গত বছর অতিমারির সময় যেসব নির্দেশগুলির বলবৎ ছিল, রাজ্যের তরফে ফের নতুন করে জারি করা নির্দেশিকায় সেই গুলিই আবার কড়া হাতে লাগুর কথা বলা হয়েছে। নির্দেশিকা লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে।

রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকাগুলি-

  • জনসমাগম হয় এমন সব জায়গায়, গণপরিবহণে মাস্ক পরা, ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার, শারীরিক দূরত্ব বিধি মানতে হবে। বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় প্রশাসনকে নজরদারি চালাতে হবে৷

    *সরকারি, বেসরকারি সব অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং বাণিজ্য কমপ্লেক্সে সপ্তাহে অন্তত একবার স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷
  • বাজারগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ করতে হবে৷
  • বাজারে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বিধি মানতে হবে।
  • যাতে একসঙ্গে বেশি মানুষের ভিড় না হয় তা নিশ্চিত করতে দোকান, বাজার, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় ভাগ করে দিতে হবে।
  • রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে প্রতিদিন কাজ চালাতে হবে৷ কর্মীদের রোটেশন পদ্ধতিতে অফিসে আনতে হবে৷
  • বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতেও যত বেশি সম্ভব কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
  • কর্মীরা মাস্ক পড়ছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন ও স্যানিজাইজার ব্যবহার করছেন- কর্মস্থলে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁতে আগের মতোই প্রবেশ এবং বাইরে যাওয়ার পথে স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, থার্মাল স্ক্যানিং-এর ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক৷
  • স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলগুলিতে আগের গাইডলাইনই মানতে হবে৷

করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ করেছে মহারাষ্ট্র। বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কয়েকটি বড় বড় শহরে নাইট কার্ফু জারি হয়েছে। এবার কড়া পদক্ষেপের পথে বাংলাও।

গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন৷ দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৩৪৷ সবথেকে খারাপ অবস্থা কলকাতার৷ রাজ্যের রাজধানীতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দু' হাজার৷ ফলে বেলাগাম করোনায় রাশ টানতে মরিয়া নবান্ন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

West Bengal Government West Bengal coronavirus corona Nabanna
Advertisment