শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে আসল সমস্যা মিটবে না। প্রয়োজনে পুলিশে নিয়োগ। ছাত্র নেতা আনিস খান মৃত্যু প্রসঙ্গ টেনে পুলিশ নিয়োগ নিয়ে এদিন রাজ্য সরকারকে এই বার্তাই দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পুলিশে নিয়োগ নিয়ে নবান্নকে আরও উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেছেন বিচারপতি।
সরশুনা থানা এলাকার এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি নিখোঁজ বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এই নিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছে নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য প্রশাসনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে নিয়োগ না করা। ফলে এই সব চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের উপরে ভরসা করতে হচ্ছে। সিভিক ভলিয়ান্টারদের দিয়ে কাজ চলছে। কনস্টেবল, এএসআই, এসআই নিয়োগ যতদিন না হবে ততদিন এঁদের দিয়েই কাজ চলবে!'
এই প্রসঙ্গেই হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেছেন, 'দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, আনিস খানের ঘটনাতেও দু'জন সিভিক সেই রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। সরকারের নিয়োগের ব্যাপারে যতদিন না উদ্যোগ হবে ততদিন এই এক বছরের চুক্তি ভিত্তিক লোকেদের দিয়েই নিচু তলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে।'
অতীতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এরপরই সরশুনার মামলার প্রেক্ষিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে নির্দেশিকা তৈরির জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে এবং কোন কোন কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হয়, সেসবই রাজ্য পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত।