ডি-এর দাবিতে আদালতে লড়াই চলছে। পথে নেমে বিক্ষোভও জারি রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের। ধুন্ধুমার ধর্মতলা ও বিধানসভা চত্বর। পাওনা ডিএ-র দাবিতে এদিন বিধানসভা অভিযান করেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩০টি সংগঠমের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। পুলিশ আন্দোলনকারীদের রানি রাসমনি অ্যাভেনিউতে আটকালে বিক্ষোভকারীরা প্রথমে ব্যারিকেড ভাঙে। এইসময় উভয়পক্ষের মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে।
Advertisment
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বেশ কিছু রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগী আকাশবানী দিকে দৌড় যান। তাঁদের ধরতে ছুটে যায় পুলিশ। এসবের মধ্যেই আন্দোলনকারীদের বড় অংশ ওই পথেই নজির বিহীনভাবে পৌঁছে যান বিধানসভার গেটের সামনে। বিধানসভা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে।
কার্যত নাজেহাল অবস্থা হয় উর্দিধারীদের। নির্বিচারে চলে বলপ্রয়োগ। আন্দোলনকারী থেকে পেনশনভোগী সকলতে ধরে কিল, ঘুষি মানতে থাকে পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এর মধ্যেই একাধিক পেনশনভোগী রাস্তায় পড়ে যান। তাঁদের কোরোর মাথায়, কারোর কোমরে আঘাত লাগে।
এক আন্দোলনকারী বলেন, 'প্রাপ্য ডি-এর জন্য লড়াই করছি সরকারের বিরুদ্ধে। মসে ১০-১২ হাজার টাকা করে কম পাচ্ছি। অথচ পুলিশ সরকারি কর্মী হয়েও আমাদের উপর লাঠি চালাচ্ছে। এটা লজ্জার। আমাদের ডিএ দিতেই হবে।' এক পেনশনভোগী বলেন, 'আমরা বৈধ প্রাপ্যের জন্য লড়াই করছি। এই জন্যই পথে নেমেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবহার করলেন। আর কত সহ্য করতে হবেয?'
বর্তামেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-এর ফারাক ৩৫ শতাংশ। কলকাতা হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর যে নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। সেই মামলার শুনানি এখনও শুরু হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট রায়ের দিকেই এখন তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মী ও পেনশনভোগীরা।