বাংলায় অশান্তি নিয়ে এবার হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার বাংলার ৪ রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে রাজভবনে বৈঠকে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় বৈঠক হওয়ার কথা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক করেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকে বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবগত করেন রাজ্যপাল। সেদিনের বৈঠকের পরই বাংলার ৪ রাজনৈতিক দলকে নিয়ে রাজভবনে বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির হিংসার নেপথ্যে বিজেপি, দলমত নির্বিশেষে মৃতদের পরিবারকে সাহায্য করবে সরকার: মমতা
রাজ্যপালের বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ডেকেছেন, আমাদের দলের প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখা করবেন। কোনও অসুবিধে নেই’’। অন্যদিকে, বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি জরুরি কিনা এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারা কেন জারি করা হবে না? সেখানে বেশি জরুরি নাকি বাংলায় জরুরি?’’
সন্দেশখালিতে হিংসার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা ভোটের পর বাংলায় যেভাবে অশান্তির ঘটনা ঘটছে, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই চর্চা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বঙ্গে ৩৫৬ জারি করা হতে পারে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, ‘‘এটা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না’’। পরে এ প্রসঙ্গে ‘হতেও পারে’ বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।
এদিকে, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে রাজ্যপালকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হেয়ার স্কুলে বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচনে এসে মমতা বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে ১০ জন মারা গিয়েছেন, রাজ্যপাল বলছেন ১২ জন। মানে পুরোটাই টার্গেট। ওঁকে সম্মান করি, কিন্তু ওঁর রাজনৈতিক ভাষণকে সম্মান করি না’’।