বগটুই-কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা বুধবার সকালেই গ্রহণ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশে সময় বেঁধে দিল উচ্চ আদালত। আগামিকাল দুপুর ২টোর মধ্যে রমপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হবে রাজ্যকে, এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের নৃশংস 'হত্যাকাণ্ড' নিয়ে নড়েচড়ে বসল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন সকালে বগটুইয়ের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল উচ্চ আদলত। মামলার শুনানিতে এদিন কলকাতা হাইেকার্ট জানিয়েছে, রাজ্যকেই প্রথম এই ঘটনার তদন্তের সুযোগ দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন CFSL-এর দিল্লির অফিসাররা।
আরও পড়ুন- বগটুইয়ের পথে বাস থামিয়ে শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানে বিজেপি বিধায়করা, কটাক্ষ তৃণমূলের
গোটা ঘটনাস্থল সিসিটিভি, ভিডিও ক্যামেরায় মুড়ে ফেলতে হবে। সাক্ষীর নাম লেখা যাবে না। কেস ডায়েরি, রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে। এরই পাশাপাশি এদিন আদালত জানিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলা জজের পরামর্শে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সব ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে সিটকে বগটুই কান্ডের কেস ডায়েরি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- বগটুই নিয়ে পাল্টা চাপ বাড়ানোর কৌশল? আজ শাহি-দরবারে তৃণমূল
বুধবার সকালেই বগটুই গ্রামের ঘটনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণের সময়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনি বলেছিলেন, ''ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এই ধরনের ঘটনা সিরিয়াস ক্রাইম। অবিলম্বে কড়া তদন্ত দরকার। ১০টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল, ঘরবন্দি করে মানুষকে পুড়িয়ে খুন করা হল। এই ধরনের ঘটনার পিছনে যাঁরা রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।''
অন্যদিকে, বগটুই গ্রামের ঘটনার জেরে আগেই ক্লোজ করা হয়েছিল রামপুরহাটের এসডিপিও, রামপুরহাট থানার আইসি-কে। এবার এরা ছাড়াও আরও ১২ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। জানা গিয়েছে, ডিআইবি ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে এই ঘটনার জেরে আরও ১২ জনকে ক্লোজ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনায় মোট ১৪ পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে।