সূর্যের প্রখর তেজে যেন জ্বলছে বাংলা। হাঁসফাঁস করা পরিস্থিতি। প্রবল এই গরম থেকে মুক্তি তো দূর, উল্টে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতে গরম থেকে বাঁচতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। দাহদাহ থেকে বাঁচতে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়, তা জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়।
জনস্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা নির্দেশিকায়, সানস্ট্রোকের সম্ভাবনা এড়াতে দিনের বেলায় রোদ থেকে বাঁচতে সঙ্গে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরের কাজ দুপুরের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। রোদে কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছায়ায় এসে বিশ্রাম নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। গরমে প্রচণ্ড ঘাম হয়। তাই শরীরে জলের মাত্র ঠিক রাখতে বারে বারে জল পানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । শারীরিক কোনও অসুস্থতা না থাকলে ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট মিশ্রিত পানীয় খাওয়ারও খাওয়া যেতে পারে।
গরমে বমি বা মাথা ঘোরা অত্যন্ত পরিচিত প্রবণতা। মাথা ঘুরলে কিংবা বমি পেলে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় বসে জল খাওয়া, বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রোদে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে বয়স্ক কিংবা অসুস্থ ব্যক্তি, পোষ্য এবং শিশুদেরনা রেখে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর পোশাক আলগা করে মাটিতে শোয়ানো কথা রয়েছে নির্দেশিকায়। অসুস্থ ব্যক্তি জ্ঞান হারালে তাঁকে দ্রুত হাসপাতাল কিংবা স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই সময়ে মদ্যপান থেকে বিরত থাকার পাশাপাশিলশরীরে জলের জোগান স্বাভাবিক রাখতে মরসুমি ফল, অল্প মিষ্টি দেওয়া শরবত, লস্যি এবং নুন-চিনি-লেবু মেশানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গরমে হালকা রঙের সুতির পোশাক, রোদচশমার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।