বাকুড়াঁ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের আদিবাসী পরিবারের তরুণদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগের পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার, যার ফলে তাঁরা ট্রাফিকের মতো জরুরি বিষয়ের তত্ত্বাবধান করবেন এবং পুলিশকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সাহায্য করবে। সচিবালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, "শীঘ্রই রাজ্য পুলিশ আদিবাসী নাগরিকদের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। সচিবালয় এই উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়ে সম্মতি দিয়েছে। একদিকে, এতে আদিবাসী যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। অন্যদিকে, স্থানীয় মানুষ হওয়ায় তাঁরা অঞ্চলটার সঙ্গে ভালভাবে পরিচিত। ফলে বাকুড়াঁ, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম যেমন মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠছিল, সেখানে পুলিশি তৎপরতা শুরু হবে।"
সূত্র অনুযায়ী, সরকারের জনকল্যাণকর যোজনা আদিবাসীরা পাচ্ছেন কিনা, স্বেচ্ছাসেবকরা ঘরে ঘরে গিয়ে তা নিশ্চিত করবেন। ওই সমস্ত অঞ্চলে মাওবাদী কার্যকলাপের ব্যপারেও সরকারের হয়ে সরেজমিনে তথ্য সরবরাহ করবেন তাঁরা। স্বেচ্ছাসেবকদের ট্রেনিং দেবে পুলিশ। তারপরেই তাঁদের কাজের জন্য সরাসরি নিয়োগ করা হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন, ‘ভাইপো’ অনুপমকে দল বহিষ্কার করেছে দল, বেশ করেছে, বললেন অনুব্রত
লোকসভা নির্বাচন যখন ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে ঠিক তখনই এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ভাল ফল করতে পারেনি শাসকদল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কল্যাণমূলক পরিকল্পনা চালু করার পরও আদিবাসী এলাকাগুলিতে পিছিয়ে থাকতে হয়েছে ক্ষমতাসীন তৃণমূলকে। ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোয় কাজে আসেনি ২ টাকা কেজি চালের টোপও। ফলে নিজেদের মধ্যেই অসন্তুষ্টিতে ভুগছে তৃণমূল।
Read the full story in English