Malda News: বিশ্ব বাংলার সরকারি লোগো দেওয়া ত্রিপল বিক্রি হচ্ছে মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর হাটে। এমন অভিযোগকে ঘিরেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই ত্রিপল কিনতেই ভিড় করেছেন অসংখ্য ক্রেতারা। অভিযোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে ত্রাণের দেওয়া ত্রিপল কোনও পঞ্চায়েত থেকে লুকিয়ে এনে সেগুলি মথুরাপুর হাটে বিক্রি করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। তার আগেই বেশ কয়েকজন ত্রিপল বিক্রেতা চম্পট দেয়। তবে পুলিশ খাজিরুদ্দিন মোমিন নামে এক ত্রিপল বিক্রেতাকে আটক করেছে। ওই ত্রিপল বিক্রেতার বাড়ি কালিয়াচক থানার শেরশাহী এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি শনিবার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর এলাকায় হাট বসে। এই শনিবারও ছিল হাটবার। আর সেই হাটে আট থেকে দশজন বিক্রেতা অসংখ্য ত্রিপলের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করতে বসেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতিটি ত্রিপল প্লাস্টিক ব্যাগে ভরা ছিল। যার ওপরে বিশ্ব বাংলার লোগো এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা উল্লেখ ছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। এরপরেই মানিকচক থানার পুলিশ মথুরাপুর হাটে অভিযান চালায়। সেখান থেকে এক ত্রিপল বিক্রেতাকে আটক করা হয়।
এদিকে ত্রাণের বিলি করা সরকারি ত্রিপল খোলা বাজারে বিক্রির ঘটনায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি সিনহা বলেন, "শনিবার বিকেলে হাটে কয়েকজন বিক্রেতা ৫০০'র বেশি বিশ্ব বাংলার লোগো লাগানো এই ত্রিপলগুলি বিক্রি করছিল। মানিকচকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় নির্বাচিত দুই পঞ্চায়েত সদস্য মথুরাপুর হাটে বাজার করতে গিয়েই দেখেন যে, সরকারি লোগো লাগানোর ত্রিপলগুলি বিক্রি করা হচ্ছে। তখনই তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। মানিকচক ব্লকটি গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকা। এখানে উদ্বাস্তুদের জন্য সরকারের দেওয়া ত্রিপল ঠিকমতো বিলি হচ্ছে না। যা খোলা বাজারে বেআইনিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা এই ঘটনা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন- Sukanta on Adhir: ‘রামের বাড়ি আসুন’, খাড়গের কড়া বার্তার পরেই অধীরকে BJP-তে ডাকলেন সুকান্ত
মানিকচকে বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক মুত্তাকিন আলমের অভিযোগ , এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের একাংশের পঞ্চায়েত সদস্যদের হাত রয়েছে। তিনি বলেন, "বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা ত্রিপল কীভাবে খোলা বাজারে বিক্রি হয়? ভাঙনে গরিব-উদ্বাস্তুরা সরকারি ত্রিপল পাচ্ছেন না। অথচ খোলা বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে এই ত্রিপল বিক্রি হচ্ছে। এই ঘটনার ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনকে জানানো হবে।"
আরও পড়ুন- J P Nadda: ‘মিথ ভেঙে দেবে বিজেপি’…, শুভেন্দুকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, ভোটের মাঝেই বিস্ফোরক নাড্ডা
যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর কিছু জানা নেই। তাই তিনি এব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথী হালদার জানিয়েছেন, খোলা বাজারে বেআইনিভাবে সরকারি ত্রিপল বিক্রির ঘটনার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ৩৯ টি ত্রিপল উদ্ধার করা হয়েছে।