সজাগ মমতা প্রশাসন, হাই সিকিউরিটি জেলে সরল রাজ্যের পাক বন্দিরা

দিন সাতেক আগে জয়পুর সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যু হয়েছে এক পাক বন্দির। সহবন্দিরা পিটিয়ে খুন করেছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিল এ রাজ্যের সরকার। 

দিন সাতেক আগে জয়পুর সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যু হয়েছে এক পাক বন্দির। সহবন্দিরা পিটিয়ে খুন করেছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিল এ রাজ্যের সরকার। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pakistani prisoner murdered in jaipur jail

সীমান্তে চাপ বাড়ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের ১৪ জন পাক বন্দিকে উচ্চ নিরাপত্তার সেলে স্থানান্তরিত করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দিন সাতেক আগে জয়পুর সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যু হয়েছে এক পাক বন্দির। সহবন্দিরা পিটিয়ে খুন করেছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিল এ রাজ্যের সরকার।

Advertisment

আরও পড়ুন: 'ওঁদের আত্মা শান্তি পেল', বলছেন পুলওয়ামায় নিহতদের পরিজনেরা

ওয়েস্টবেঙ্গল কারেকশনাল সার্ভিসের এক আধিকারিক জানালেন, "রাজস্থানের ঘটনার পর আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে, কোনওভাবেই যেন অন্য বন্দিদের সঙ্গে পাক বন্দিদের রাখা না হয়। হেভিওয়েট বন্দিরা, যেমন আমেরিকান সেন্টার হামলায় গ্রেফতার হয়েছিল যারা, তাদের সঙ্গে এই ১৪ জন বন্দিকে রাখা হয়েছে।" ১৮ জন পাক বন্দির নিরাপত্তার জন্য তৃ-স্তরীয় কর্ডন গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, "এঁদের মধ্যে অধিকাংশের সঙ্গেই বাকি বন্দিদের ভাল সম্পর্ক, কিন্তু পুলওয়ামা-হামলা পরবর্তী পরিস্থিতিতে আমরা কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাইছি না।"

Advertisment

আরও পড়ুন: পাক হামলা সফল হয়নি, তবে এক ভারতীয় পাইলট নিখোঁজ: বিদেশমন্ত্রক

অন্যদিকে, এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে জয়পুর জেলে ছিলেন শকর উল্লাহ নামের ওই বন্দি। গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ১৯৯১ সালে শকর উল্লাহকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল পাকিস্তানের এক আদালত। তবে পাকিস্তান সরকার ২০০৮ সালে তাঁর ফাঁসির সাজা অনির্দিষ্ট কালের জন্য রদ করে দেয়।

পশ্চিমবঙ্গের ১৪ জনের মধ্যে চারজন বন্দি এতদিন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার এবং বাকি ১০ জন দমদম সংশোধনাগারে ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "এঁদের কেউ ভিসা বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন, কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। আপাতত উচ্চ নিরাপত্তার সেল থেকে তাঁদের বের করে আনার কোনো সম্ভাবনাই নেই। আমাদের আধিকারিকেরা ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে কড়া নজর রেখেছেন।"

Read the full story in English

pakistan Pulwama Attack