Advertisment

দশ শতাংশ নয়া সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত মমতা সরকারের

তপশিল জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য যে সংরক্ষণ ইতিমধ্যে জারি রয়েছে, তা ছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে অনাগ্রসর জন্য এই নয়া দশ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হতে চলেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়েপড়াদের জন্য আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল মমতা সরকার। ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য মন্ত্রীসভা। তপশিল জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর জাতির জন্য যে সংরক্ষণ ইতিমধ্যে জারি রয়েছে, তা ছাড়াও অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য এই নয়া দশ শতাংশ সংরক্ষণ চালু হতে চলেছে। এই সংরক্ষণ রাজ্যের শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ রাজ্যের ইতিহাসে এমন সংরক্ষণের কোনো নজির নেই।

Advertisment

মঙ্গলবার রাজ্যের সব তপশিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক অনগ্রসরদের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণের কথা প্রথম ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। এদিন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্ত কি মোদী সরকারের পদক্ষেপ অনুসরণ করেই নেওয়া হল? এই প্রশ্ন করা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিল থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই ফারাক রয়েছে দুই সিদ্ধান্তে।

আরও পড়ুন: ‘কালীঘাটে ১৩টি ফ্ল্যাট, পুরী-গোয়াতে হোটেল, তৃণমূল সুপ্রিমোকে উত্তর দিতে হবে’

এই নয়া বিলে কড়া প্রতিক্তিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "ঠেলার নাম বাবাজি। এত বছর পর সমস্ত সংরক্ষণের কথা মনে পড়ছে। যখন ভোটে হারবেন বুঝে গেছেন তখনই এসব করতে চাইছেন। প্রথমে তো নিজেই কেন্দ্রের বিলটির বিরোধীতা করেছিলেন"।

Mamata Banerjee partha chatterjee
Advertisment