এবার ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার

প্রস্তাবিত নির্দেশিকায় পরিবেশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি মূলত চিকিৎসকদের আরও বেশি তৎপর হতে বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। যাঁদের অবস্থা সংকটজনক, তাঁদেরকে অবিলম্বে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে।

প্রস্তাবিত নির্দেশিকায় পরিবেশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি মূলত চিকিৎসকদের আরও বেশি তৎপর হতে বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। যাঁদের অবস্থা সংকটজনক, তাঁদেরকে অবিলম্বে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

চিকিৎসকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

চলতি মরসুমে ডেঙ্গির প্রভাব আটকাতে সাময়িকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। ইতিমধ্যেই কঠোর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুনরায় পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং আরও সচেতনতা বাড়ানোর নির্দেশিকাও জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি চিকিৎসকদের তৎপর হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রচেষ্টার সঙ্গে আছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ দল, পশ্চিমবঙ্গের কিছু মেডিকেল কলেজ, এবং অন্যান্য সরকারি পর্যবেক্ষণ চালানোর দল। যাদের মূল লক্ষ্য ডেঙ্গি জন্য যে সব প্রোটোকল আছে তা হুবহু অনুসরণ করা। পাশাপাশি নড়েচড়ে বসেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিও।

Advertisment

publive-image স্বাস্থ্য দফতর তরফে নির্দেশিকা

আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলা করতে পারছে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার, পরামর্শ দিতে চান সিদ্ধার্থ সিং

Advertisment

তবে এবার প্রস্তাবিত নির্দেশিকায় পরিবেশ পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি মূলত চিকিৎসকদের আরও বেশি তৎপর হতে বলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। যাঁদের অবস্থা সংকটজনক, তাঁদেরকে অবিলম্বে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। ডেঙ্গির প্রভাব মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছলে যেসব লক্ষণ দেখা দেবে, তা হল শরীরের তাপমাত্রা যদি হঠাৎ বেড়ে যাবে, পেটের ব্যাথা আরও বাড়তে থাকবে, বমি বন্ধ হবে না সহজে, বিশেষ করে বেড়ে যাবে নাড়ির স্পন্দন, ঘুম বেড়ে যাবে, অকারণে ক্লান্তি আসবে, অকারণে বিরক্তি দেখা দেবে, প্রস্রাবের স্বাভাবিক রঙ বদলে যাওয়ার পাশাপাশি অনিয়মিত হয়ে পড়বে, এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেবে।

publive-image স্বাস্থ্য দফতর তরফে নির্দেশিকা

আরও পড়ুন: ‘কামান দেগে মশা মারা যায় না’, প্রয়োজন সঠিক পদক্ষেপের

এদিকে ডাক্তার রেজাউল করিম বলেন, "ডেঙ্গি লেখার বিষয়ে সরকারের আপত্তি আছে। এবছর আমরা ডাক্তাররা চাপাচাপি করলে কোন জ্বরকে ডেঙ্গি বলা যাবে, কোনগুলোকে বলা যাবে না, তার একটা গাইডলাইন প্রকাশ করে সরকার। সমীক্ষা বলছে, ডেঙ্গি শুরু হয় যখন বর্ষা চলে যাওয়ার সময় হয়, তাই সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে মরসুম শুরু হওয়ার আগেই। ডেঙ্গি শুরু হলেই সরকার নড়েচড়ে বসে, তার আগে কোনোরকম পদক্ষেপ নেয় না।" ডঃ করিম প্রশ্ন তুলেছেন, "কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তো ডাক্তারদের কাজ, সরকারের ভুমিকা এখানে কোথায়?"

ডেঙ্গি হলেই যে মানুষ মারা যাবেন এমনটা নয়। বেশিরভাগ ডেঙ্গিই ভয়াবহ আকার নেয় না। এক্ষেত্রে উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সর্দিজ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গির কোনো ফারাক নেই। তবে শতকরা দশভাগ ডেঙ্গি আক্রান্তের ক্ষেত্রে রোগ খারাপ দিকে যেতে পারে। তাই প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে খারাপ প্রজাতির ডেঙ্গি চিহ্নিত করা। রক্ত পরীক্ষা করার পর এনএস-১ একশোর মধ্যে যদি সত্তর জনের ভেতরেও পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে কতজনের হেমারেজিক শক ডেঙ্গি হতে পারে, সেইটা আগে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। আইজিএম সহ বিভিন্ন প্রোটোকলের মধ্যে দিয়ে গিয়ে প্রথমে জানা দরকার কোন জ্বর মারাত্মক অবস্থা ধারণ করতে পারে। তারপর সেভাবে প্রয়েজনীয় ট্রিটমেন্ট শুরু করা দরকার। সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে, আরও প্রচার বাড়াতে হবে, বলছেন ডাক্তাররা।

Dengue