রাজ্যের ইলিশবিলাসীদের জন্য সুখবর! পদ্মার ইলিশের জন্য আক্ষেপ করে সময় নষ্ট নয়। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আশ্বস্ত করলেন, ইলিশ উৎপাদনে রাজ্য শুধু সাবলম্বী হবে না, বিশ্বের অন্যত্র ইলিশ সরবারহও করবে অচিরেই।
মমতা এদিন বলেন, "ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ আমদানি করার প্রয়োজন পড়বে না। এবার ইলিশ উৎপাদনে রাজ্য নিজেই স্বাবলম্বী হবে। শুধু তাই না, বিদেশেও উৎপাদিত ইলিশ সরবরাহ করা হবে"। এদিন বিধানসভায় দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা বিবির প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "তিস্তার জল দিতে না পারায় বাংলাদেশ পদ্মার ইলিশ সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। মমতার আক্ষেপ, জল দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কোথা থেকে জল দেব। এরপরই তিনি ইলিশ ও মাছের উৎপাদন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন"।
আরও পড়ুন- ইলিশ কি চিনে নেবে ফেলে আসা পথ?
বিগত বছর দুয়েক পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত রাজ্যের মানুষ। এবারও বাজারে আসেনি বাংলাদেশের রপালী শষ্য। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর বরাভয়, ইলিশ নিয়ে আর চিন্তা নেই। মাছে-ভাতে থাকা বাঙালীকে এদিন ইলিশ ছাড়া অন্য মাছ নিয়েও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, "ইলিশ থেকে রাজ্যের মানুষ বঞ্চিত হবে না। ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে। আগামীদিনে রাজ্যের ইলিশ সারা পৃথিবীতে সরবরাহ করা হবে। রাজ্যে ইলিশ নিয়ে কোনও অভাব নেই...৭০০ পুকুরে রাজ্য মাছ চাষ করছে। একটা মাছ দু'কেজি ওজন করতে দু'বছর সময় লাগে। এখন মাছ অন্য রাজ্য থেকে আসে। এরপর আর মাছ বাইরে থেকে আমদানি করতে হবে না"।
ইলিশের কারবারি সন্দীপ বল জানান, বিগত দু'বছর ধরেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি বন্ধ রয়েছে। মূলত পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা থেকেই ইলিশ সরবরাহ করা হচ্ছে বাজারে। তাছাড়া কিছু বড় সাইজের ইলিশ আসছে বার্মা থেকেও। যদিও সেই ইলিশ মাছের তেমন স্বাদ নেই। তাঁর বক্তব্য, "ইলিশ নিয়ে রিসার্চ চলছে ঠিকই। কিন্তু, এখনও প্রয়োগ করার জায়গা আসেনি।" কাকদ্বীপের ইলিশ রিসার্চ সেন্টার নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের বক্তব্য, "কাকদ্বীপে ইলিশ নিয়ে গবেষণা প্রক্রিয়া চলছে ঠিকই। তবে তা কতটা বাস্তবায়িত হবে তা বলা মুশকিল"।