West Bengal news today updates: লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী লাগাতার সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে আজ, শুক্রবার ভাটপাড়ায় যায় তৃণমূলের সাতজনের একটি পরিষদীয় দল। এদিন এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ভাটপাড়ায় শান্তি ফেরানোর দাবিতে তৃণমূলের এই মিছিল শেষ হয় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারেটের সামনে। সেখানে বৈঠক শেষে রাজ্যের মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "ভাটপাড়ার অশান্ত পরিবেশ, সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে অর্জুন সিং"। তিনি আরো বলেন, "অর্জুন সিংয়ের ক্ষমতা নেই এখানে শান্তি ফেরানোর। ও তো গুণ্ডামি করে বেরাচ্ছে। এখানে শান্তি ফেরাচ্ছে মমতা সরকার এবং প্রশাসন। অর্জুন সিংকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি"। ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অর্জুন সিং বলেন, "ভারতীয় সংবিধান কী ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির লোক তৈরি করেছিল? ওনার কথায় পুলিশ কমিশনার অর্জুন সিংকে গ্রেফতার করলে সেটা অর্জুন সিং বুঝবে আর পুলিশ বুঝবে"। এমনকি রাজ্যের মেয়রের বিরুদ্ধে এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করে ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা বিজেপির নেতা অর্জুন সিং বলেন, "উনি মন্ত্রী হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর চামচাগিরি করে। ভাটপাড়ায় বসে এতো কথা বলেছে তো এবার মেটিয়াবুরুজে উনি কীভাবে জেতে আমি দেখবো?"
তবে ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পর অর্জুন সিংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে ব্যারাকপুরের নবনির্মিত পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, "এলাকায় গণ্ডগোলে মোট সাতজন মারা গেছে। যার মধ্যে চার জনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। শান্তি কীভাবে ফেরত আনা যাবে তা নিয়েই কথা হয়েছে। অন্যকোনো বিষইয়ে কথা হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর দেওয়া হবে।"
প্রসঙ্গত, গতকাল নির্বাচন পরবর্তী অশান্ত ভাটপাড়া পরিদর্শন করে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাটপাড়ায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সন্ত্রাস কবলিত গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। নাট্যব্যাক্তিত্ব চন্দন সেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান, “ভাটপাড়া বাংলার পুরানো ঐতিহ্যশালী জায়গা। এই এলাকা সম্প্রীতি এবং সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এই নির্বাচনের পর থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্রবল গুন্ডামি, রক্তপাত ও রাহাজানি হচ্ছে। এই ব্যাপারে পুলিশ নির্বাক হয়ে রয়েছে। ভাটপাড়ায় আজ আমরা তাই শান্তির দাবি নিয়ে এসেছি আমরা”। বিস্তারিত পড়ুন, ‘ভাটপাড়ায় ফিরুক শান্তি’, পথে নামলেন বুদ্ধিজীবীরা
বর্ধমান পূর্ব জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া গুরতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে তাঁর। মনে করা হচ্ছে, ওষুধ খাওয়ার হেরফের হওয়াতেই এই ঘটনা। অন্য একটি মহলের দাবি অতিরিক্ত চাপের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু বলেন, "উনি মাইগ্রেনের ওষুধ খেতেন। সেখান থেকেই হঠাৎ করে এই সমস্যা"। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাক্তার উৎপল দাঁ বলেন, " ওনার নিউরাল একটা সমস্যা ছিল। এখন ট্রিটমেন্ট চলছে। সুস্থ আছেন।"
ভাটপাড়া নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি, বাম-কংগ্রেস, বাংলার বুদ্ধিজীবীদের পর এবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভাটপাড়া পরিদর্শনে আসে তৃণমূলের ৭ জনের পরিষদীয় দল। এদিন এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু। তিনি বলেন, " মানুষ খুব কষ্টে আছে। বোমা গুলি যারা বর্ষণ করেছেন তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।" রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "মাননীয়ার নির্দেশে এখানে এসেছে। কেন বোম পড়বে? আমরা শান্তি চাইছি। কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলব"। এদিন থানায় গিয়ে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে কথা বলেন। রয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্যও।
লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী লাগাতার সন্ত্রাসের প্রেক্ষিতে আজ, শুক্রবার ভাটপাড়ায় যাচ্ছে তৃণমূলের একটি পরিষদীয় দল। তৃণমূল সূত্রের খবর, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই পরিষদীয় দলে থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুজিত বসুরা। দুপুর নাগাদ বিধানসভা থেকে একযোগে ভাটপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তৃণমূল বিধায়কেরা। সুব্রত জানান, দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁরা ভাটপাড়ায় পৌঁছবেন। তারপর উপদ্রুত এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন। সুব্রত বলেন, “ওই এলাকায় বিজেপি পরিকল্পিতভাবে গোলমাল জিইয়ে রাখতে চাইছে। সবিস্তারে পড়ুন আজ ভাটপাড়া পরিদর্শনে তৃণমূলের পরিষদীয় দল, নেতৃত্বে সুব্রত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি প্রসঙ্গে মুখ খোলার পরই রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে। এবার কলেজে ভর্তির সময় নেওয়া কাটমানি ফেরতের দাবিতে পথে নামবেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা। আগামীকাল, শনিবার কলকাতায় এই দাবিতে মিছিল করবে এসএফআই। শিয়ালদহ থেকে বিগবাজার পর্যন্ত মিছিলে হাঁটবেন বাম ছাত্র সংগঠনের রাজ্য কমিটির নেতারা।
যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তিনদিন বন্ধ থাকার পর গত রাতে আড়াইটা থেকে পোর্ট এলাকার বাসকেল ব্রিজে শুরু হয়েছে স্বাভাবিক যানচলাচল। উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরে বন্দর এলাকার এই গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ বন্ধ থাকার কারণে গত কয়েকদিনে এলাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল। বন্দরে পণ্যবাহী ভারি গাড়ি ঢোকার বিষয়টিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, আরও কিছু খুচরো মেরামতি বাকি আছে ব্রিজটিকে স্বয়ংক্রিয় অবস্থায় ফেরত আনতে, তবে যানচলাচলের পক্ষে ব্রিজ আপাতত নিরাপদ।
সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।