West Bengal Today News Update: লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকালে খুলল বেলুড়মঠ। নিয়ম মেনে খোলা হল মঠ। এদিকে, বেসরকারি স্কুলগুলিতে অযথা বাড়তি ফি নেওয়া যাবে না, এই দাবিতে সল্টলেকে প্রতিবাদ বিজেপির। অন্যদিকে, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের পর ফের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় হলেন মুকুল রায়। আজ বাংলার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন একসঙ্গে...
লকডাউন বিধি মেনে খুলল বেলুড়মঠ
রাজ্যে করোনার বাড়বাড়ন্ত রয়েছে ঠিকই তবে সোমবার সকালে ফের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলে দেওয়া হল বেলুড়মঠ। সকাল ৯টা থেকেই লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে মুখ মাস্কে ঢেকে সঙ্গে স্যানিটাইজার নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই বেলুড়মঠে এদিন ঢুকতে দেওয়া হয়।
লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতিবিজরিত এই মঠ। ধর্মীয় স্থান খোলার বিধি মেনে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে খুলে দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গন। সোমবার সকাল থেকেই ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। প্রায় শতাধিক ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সমাগম হয় এদিন।
করোনা সংক্রমণ রুখতে বেলুড়মঠ যে সব বিধি আরোপ করেছেন তার প্রশংসা করেছেন দর্শনার্থীরা। দর্শনার্থীরা করোনা সংক্রান্ত নিয়ম কানুন ঠিকভাবে মেনে চলছেন কিনা দেখতে মঠ প্রাঙ্গণে ছড়িয়ে ছিলেন মঠের মহারাজ ও কর্মীরা। মন্দির প্রাঙ্গনে সর্বত্রই মেনে চলতে হয়েছে সামাজিক দূরত্বের বিধি। এমনকী নিয়ম মানতে মাইকের মাধ্যমে সর্তক করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
আজ বাংলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন নীচে
বেসরকারি স্কুলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ বিজেপির
রাজ্য সরকারের পরামর্শ অমান্য করে বহু বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে সোমবার বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির শিক্ষক সেল। পদ্ম শিবিরের এই কর্মসূচীতে এদিন অংশগ্রহণ করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
বিজেপির দাবি, সামাজিক দূরত্ব মেনেই এই অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। দলীয় সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষাদফতরে একটি ডেপুটেশন পেশ করে বিজেপির প্রতিনিধি দল।এই দাবিগুলি হল-
১) লকডাউনের আবহে বেসরকারি স্কুলগুলিতে নিয়ম নীতি না মেনে যথেচ্ছভাবে ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। টিউশন ফি ছাড়া যাতে অন্যান্য কোনো ফি না নেওয়া সেই ব্যাপারে বেসরকারি স্কুলগুলিতে অবিলম্বে সরকারি নজরদারি চালু করতে হবে।
২) চাল ও আলু বাদ দিয়ে মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ থেকে অর্থ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছে, প্রাপ্য বরাদ্দের অর্ধেকও পাচ্ছে না, এই লকডাউন পরিস্থিতিতে যা খুবই প্রয়োজন ছিল। অবিলম্বে এই বঞ্চনা নির্মূল করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৩) নিয়ম নীতি না মেনে অন্যায়ভাবে শিক্ষকদের দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে এই নীতি বহির্ভূত বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ করে বদলি হওয়া শিক্ষকদের যত শীঘ্র সম্ভব নিজ বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। এছাড়াও লডাউনের সময় নিয়ম না মেনে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড-ডে মিলের চালও বিতরণ করা হচ্ছে এই মিথ্যা অভিযোগে দু'জন (একজন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষককে অন্যায়ভাবে বদলি করা হয়েছে। ভুলবশত বদলি ঘোষণাসহ, তাঁদের অবিলম্বে নিজ বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে হবে।
৪) অনশন, আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষক, SSK, MSK এবং ভোকেশনাল শিক্ষকদের রাজ্য সরকারি প্রতিশ্রুতি মতো, বেতন কাঠামো অবিলম্বে চালু করতে হবে ( মার্চের মধ্যে প্রতিশ্রুত ছিল)। এছাড়াও প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় হারে অবিলম্বে PRT, TGT এবং PGT স্কেল চালু করতে হবে।
৫) SSC পরীক্ষার্থীদের অনশন আন্দোলন প্রত্যাহারের সময় সরকার প্রতিশ্রুত কথা অনুসারে অবিলম্বে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে স্বচ্ছভাবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা এবং নিয়োগ নিয়মিতভাবে চালু করতে হবে।
এদিন সোশাল মিডিয়ায় লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, "অভিভাবকরা নিজেরাই রোজগার করতে পারছেন না, তবে তাঁরা স্কুলের বেতন দেবেন কী করে? এক্সট্রা কো-কারিকুলাম নেওয়া হচ্ছে কেন স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও? ফিজ বৃদ্ধির কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী কথা ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। বর্তমানে যা ফিজ আছে,শীঘ্রই তা মুকুব করা হোক।"
আজ বাংলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন নীচে
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ দায়িত্বে মুকুল রায়?
দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে পর পর দু’দিন বৈঠক করে খুশি বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি নিজেই একথা জানালেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে। বৈঠকের পর রাজ্যে ফিরে এসে তিনি সোমবারই ফের দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন বীরভূমে। সূত্রের খবর, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ফের গুরুদায়িত্ব পেতে পারেন বঙ্গ রাজনীতির ‘চাণক্য’। দিল্লিতে ‘সফল বৈঠকে’ র পরই ফের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় মুকুল রায়।
* “উনি না ডাকলে এই অবস্থায় কেউ দিল্লি যায় না। উনি ডেকে কথা না বললে কথা হত না। এক দিন না, দুদিন উনি আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। সিরিয়াস কথা হয়েছে। আমিও খুশি। রাজ্যের ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি খুব সিরিয়াস।”
* অমিত শাহর ভার্চুয়াল জনসভায় মুকুল রায়কে বক্তা হিসাবে দল গুরুত্ব দেয়। কিন্তু মুকুল রায় কী দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন বা জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য হয়েই থাকতে হবে কী না তা নিয়ে দলে জল্পনা ছিলই। তাই দিল্লিতে অমিত শাহর সঙ্গে মুকুল রায়ের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।
* ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আপনাকে কোনও বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল? জবাবে মুকুলবাবু বলেন, ‘দেখা যাক। তবে নেতৃত্বের বিশেষ চিন্তা ভাবনাকে আমাদের এক্সিকিউট করতে হবে।”
আজ বাংলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন নীচে
সাগর দত্ত উত্তাল, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, নামল র্যাফ
ফের উত্তেজনা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে এবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। সপ্তাহ দুয়েক ধরেই এই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত না করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। হাসপাতাল সূত্রে এদিন খবর সোমবার সকালে চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যেতে হয় বহু রোগীকে। এরপরই উত্তেজিত জনতা ইট ছোড়ে সাগর দত্ত হাসপাতালের গেটে লাগোয়া তৃণমূলের দলীয় অফিসে।
* তাঁদের দাবি, শুধু করোনা নয়, সাধারাণ মানুষের অন্য চিকিৎসাও করতে হবে।
* “অন্যান্য চিকিত্সা না হলে বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শুধুমাত্র একটি হাসপাতাল। সমস্ত মানুষ এখানে আসেন। সেখানে ওপিডি বন্ধ করে কোভিড হাসপাতাল তৈরি করলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?"
* এদিনের বিক্ষোভকারীরা জানান, কোনো অসুখ হলে আর জি কর যেতে হবে। গাড়ি নেই, রোগীকে নিয়ে যাব কেমন করে? যদিও বা যেতে পারি সেখানে আদৌ চিকিৎসা পাব কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন দফতরকে ফের চিঠি বেসরকারি বাস সংগঠনের
এই নিয়ে টানা ন'দিন দাম বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের। এদিকে লকডাউন নিয়মে বেশি যাত্রীও নেওয়া যাবে না বাসে। এই জোড়া গেরোয় ফের বাস না চালানোর দাবি জানালেন রাজ্যের বেসরকারি বাস সংগঠন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না করলে বাস চালানো সম্ভব নয়, এদিন পরিবহন দফতরকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে সংগঠন।
বাস-মিনিবাস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বোস জানান যে তাঁরা সরকারের অনুরোধে রাস্তায় বাস নামিয়েছেন। কিন্তু যেভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে চলেছে সেক্ষেত্রে আর বাস চালানো সম্ভবপর হচ্ছে না তাঁদের পক্ষে। সেই মোতাবেক বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে রাজ্য পরিবহন দফতরকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন