West Bengal Today News Update: ভারত-চিন সীমান্তে শহিদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে ২ দিন ভার্চুয়াল সভা বন্ধ বিজেপির। চিনা পণ্যে বয়কট ও চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কলকাতা ও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চলছে। কোথাও আবার চিনা পণ্যে-সামগ্রী পোড়ানো হয়েছে।অন্যদিকে, স্কুল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সল্টলেকে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। আজ বাংলার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন এক এক করে...
শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে ২ দিন ভার্চুয়াল সভা বন্ধের সিদ্ধান্ত বিজেপির
লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে আগামী দু'দিন সবরকম রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। বৃহস্পতিবার টুইট করে এই নির্দেশ জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আগামী দু'দিন দেশব্যাপী চলতে থাকা বিজেপির ভার্চুয়াল জনসভাও বন্ধ থাকবে।
गालवान घाटी में मातृभूमि की रक्षा करते हुए अपना सर्वोच्च बलिदान देने वाले अमर शहीदों को हमेशा याद किया जाएगा। राष्ट्र उनका ऋणी है। मैं शहीदों श्रद्धांजलि अर्पित करता हूं।
भाजपा ने अपने सभी राजनैतिक कार्यक्रमों, वर्चूअल सभाओं आदि को अगले दो दिनो तक स्थगित करने का निर्णय लिया है।— Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) June 18, 2020
টুইটে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে জে পি নাড্ডা বলেন, "গালওয়ান উপত্যকায় মাতৃভূমির রক্ষার্থে অমর শহিদরা তাঁদের যে বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণ করা হবে। দেশ তাঁদের কাছে ঋণী হয়ে থাকবে। আমি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বিজেপি তাঁর সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচী, ভার্চুয়াল সভা ইত্যাদি পরবর্তী দু দিনের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
চিনা পণ্য বয়কট নিয়ে অশান্ত কলকাতা, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ
লাদাখ সীমান্তে চিনা হামলায় ২০ ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে সারা দেশ। রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষ চিনা আক্রমনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে। চিনা পণ্যে বয়কট ও চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কলকাতা ও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ চলছে। কোথাও আবার চিনা পণ্যে-সামগ্রী পোড়ানো হয়েছে। এদিনও সল্টলেকে চিনা কনস্যুলেট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার মহাজতি সদনের সামনে চিনা পণ্যে সামগ্রী পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায় ফরওয়ার্ড ব্লক। চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে বামফ্রণ্টের এই শরিক দল। চিনা সামগ্রী বয়কটের ডাকও দিয়েছে তাঁরা। অন্য় দিকে সল্টলেকে চিনা কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় শিবসেনা। সেখানে বেশ কিছু চায়না মোবাইল ভেঙে ফেলা হয়। এখানে বুধবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে অখীল ভারতীয় বিদ্য়ীর্থী পরিষদ।
এদিন জেলায় জেলায়ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। আসানসোলে বিজেপি ও হুগলীর চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ে চিনা আক্রমনের প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন প্রতিবাদ-বিক্ষোভে চিনা প্রেসিডেন্টের ছবি পোড়ানো হয়। পোড়ানো হয় নানা সস্তার চিনা সামগ্রী। সমস্ত ধরনের চিনা দ্রব্য় বয়কটের ডাক দেওয়া হয় বিক্ষোভ সভাগুলি থেকে।
রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,
লকডাউনে অতিরিক্ত স্কুল ফি দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভ সল্টলেকে
সল্টলেকের হরিয়ানা বিদ্যা মন্দির স্কুলের সামনে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার সকালে প্ল্যাকার্ড হতে নিয়ে স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পড়াশোনার বাইরে অতিরিক্ত পরিষেবার জন্য স্কুল টাকা নেয়।তাঁদের অভিযোগ লকডাউন শুরুর সময় থেকে বন্ধ স্কুল।তাই অতিরিক্ত পরিষেবাও এখন পুরোটাই বন্ধ। তাহলে কেন সেই খাতের জন্য টাকা নেওয়া হবে? একইসঙ্গে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, স্কুল থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ জুনের মধ্যে টাকা জমা না দিলে, হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। অভিভাবকদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা টিউশন ফি দিতে রাজি, কিন্তু অন্যান্য পরিষেবার জন্য তাঁরা টাকা দেবে না। স্কুল চালু হলে, টিউশন ফি ছাড়া বাকি টাকা দিতে রাজি অভিভবকরা।
বৃহস্পতিবার ফিরছে দুই শহিদের কফিনবন্দি দেহ, শেষকৃত্য নিজভূমেই
লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় শহীদের তালিকায় ছিলেন বাংলার দুই সেনাও। এর মধ্যে মৃত জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের বাড়ি বীরভূমের বেলগড়িয়ায়। অন্য আর এক মৃত জওয়ান বিপুল রায়ের বাড়ি আলিপুরদুয়ারের বিন্দিপাড়ায়। জানা গিয়েছে এই দুজনেরই দেহ বৃহস্পতিবার এদের নিজভূমে নিয়ে আসা হবে। সেখানেই তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন আত্মীয়-পরিজনেরা।
চিনা সেনাদের আক্রমণে প্রাণ হারান বাংলার এই দুই সন্তান। পুরো বেলগড়িয়া গ্রামে শোকের ছায়া। রাজেশের বাবা সুভাষ ওরাং, মা মমতা ওরাং। বাবা চাষ-আবাদের কাজ করতেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এখন সেই কাজও করতে পারেন না। সংসারের আশা-ভরসা ছিলেন বড় ছেলে রাজেশ। পরিবারে দুই বোন ও এক ভাই। এক বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর এক বোনের বিয়ের কথা চলছিল। সিপাই পদে ছিলেন রাজেশ। সন্তান হারানোর কথা জানতে পেরে মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারাচ্ছেন রাজেশের মা-বাবা। এক ফাঁকে চোখের জল মুছতে মুছতে শোকবিহ্বল সুভাষ ওরাং বলেন, ‘দেশের জন্য ছেলে শহিদ হওয়ায় আমি গর্বিত।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন