বীরভূমের মহম্মদ বাজারের বলগড়িয়া গ্রামে চিন সীমান্তে শহীদ রাজেশ ওরাং-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। এদিকে, লকডাউনে মহিলাদের উপর বেড়েছে হিংসাত্মক ঘটনা এমনটাই জানাল পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশন। অন্যদিকে, করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত চার্জ না নিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে বৃহস্পতিবার আর্জি জানায় মমতা সরকার। এদিকে, আইসিএসই এবং আইএসসি-এর বাকি পরীক্ষায় বসতে পড়ুয়াদের কাছ থেকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট চাইল একটি বেসরকারি স্কুল। আজ বাংলার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এক এক করে...
বীরভূমে শেষকৃত্য সম্পন্ন শহিদ রাজেশের
সীমান্ত লড়াইয়ে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন রাজেশ ওরাং। লাদাখ সীমান্ত থেকে বীরভূমের মহম্মদ বাজারের বলগড়িয়া গ্রামে যখন আসে কফিন বন্দি দেহ, সামাজিক দূরত্ব ভুলেই লোকে লোকারণ্য এলাকা।নিজের গ্রামে শুক্রবারই চিন সীমান্তে শহীদ রাজেশ ওরাং-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। গোটা জেলার মানুষ দেশের এই বীর সেনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়।
এদিন শহিদ রাজেশের শেষকৃত্যে হাজির জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল এবং বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বাংলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন নীচে,
লকডাউনে বাংলায় বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা
একে আতঙ্ক, তার উপর বন্ধ কাজ, লকডাউনে মহিলাদের উপর বেড়েছে হিংসাত্মক ঘটনা এমনটাই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনা অতিমারী আবহে এখনও পর্যন্ত ১৬২টি কেস এসেছে কমিশনে। যার মধ্যে ৩৮ ঘটনা গার্হস্থ্য হিংসার। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউনে একসঙ্গে সবসময় থাকার দরুন ক্রমশ এই হিংসাত্মক ঘটনা বেড়েই চলেছে।"
* যাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে তাঁদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই এই মুহুর্তে। ফলে সঙ্গীর থেকে দুর্ব্যবহার, হিংসাত্মক ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
* মহিলারা তাঁদের উপর হওয়া অত্যাচার কমিশনে ফোন করেও জানাতে পারছেন না কারণ অভিযুক্ত তাঁর কাছেই থাকছে, এমনটাই মত কমিশন চেয়ারপার্সনের।
* তিনি জানান যে হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেইল বা ফোন নাম্বারে সাহায্যের জন্য আর্তি আসলেই তা সমাধান করছে কমিশন। কমিশনের ফোন নাম্বার মহিলাদের কাছে পাঠাতে সাহায্য করছে অনেক এনজিও।
* শহরের অপর একটি মহিলা অধিকার সংস্থা স্বয়ম জানায় যে এই লকডাউনে ১১ থেকে ৮০ বছরের মহিলারাও তাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন গার্হস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। ১১০০টি অভিযোগ ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে তাঁদের কাছে।
* মহিলাদের উপর মারধর করার ঘটনাও অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে লকডাউনে, জানান স্বয়ম এর সদস্য গার্গী গুহ।
* স্বয়মে একটি অভিযোগ আসে যেখানে অভিযোগকারিনী জানান যে তাঁর তিন বছরের বিয়েতে এই প্রথম স্বামী তাঁর গায়ে হাত তোলে। অফিস বন্ধ হওয়ায় সমস্ত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাঁর স্ত্রী'র উপর। অগত্যা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ওই নিগৃহীতা।
লকডাউনের পর থেকে দুনিয়া জুড়েই গার্হস্থ্য হিংসার মাত্রা বেড়েছে ২০ থেকে ৭০ শতাংশ। যেহেতু বাড়িতেই বন্দি নির্যাতনকারী থেকে শুরু করে শিশু সহ পরিবারের সকলেই, সেহেতু বেড়েছে মহিলাদের ওপর গৃহকর্মের তথা সেবাযত্নের বোঝা, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসার ঝুঁকিও। জাতীয় মহিলা কমিশন জানাচ্ছে, মার্চ মাসের শুরুর সঙ্গে তুলনা করলে লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে গার্হস্থ্য হিংসার মাত্রা।
বাংলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন নীচে,
করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত চার্জ নয়, হাসপাতালকে জানিয়ে দিল সরকার
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে করোনা চিকিৎসায় অতিরিক্ত চার্জ না নিতে বৃহস্পতিবার আর্জি জানায় মমতা সরকার। যদিও দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত তৃণমূল সরকার এই চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনও সর্বোচ্চ নির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দেয়নি এখনও।
* বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, "আমরা এখনও হাসপাতালের বিল সংক্রান্ত কোনও চার্জ স্থির করিনি, তবে কোনও সমস্যা হলে আমরা তা করব।"
* রোগীদের উপর অতিরিক্ত খরচের অর্থ যাতে আরোপ করা না হয় সে অনুরোধ বেসরকারি হাসপাতালের কাছে করা হয় সরকারের তরফে।
* মুখ্যসচিব এও বলেন, "আমাদের কাছে খবর এসেছে যে ডাক্তারদের ব্যবহৃত পিপিই কিটের টাকা রোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্চে। এটা অনুচিত।"
* "হাসপাতালের এসব খরচ কখনই কেউ রোগীদের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না। এইসব খরচ হাসপাতালগুলিকেই বহন করতে হবে।"
* করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রেও সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অর্থ নেওয়া যাবে না বলে সাফ জানান মুখ্যসচিব।
বোর্ড পরীক্ষায় বসতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট চাইল স্কুল
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এবং লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছিল স্কুল-কলেজ-পরীক্ষা। এবার আইসিএসই এবং আইএসসি-এর বাকি পরীক্ষায় বসতে পড়ুয়াদের কাছ থেকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট চাইল একটি বেসরকারি স্কুল। ইতিমধ্যেই অভিভাবকদের কাছে এই মর্মে একটি নোটিস পাঠিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
* নোটিসে বলা হয়েছে, "অভিভাবকদের বলা হচ্ছে পরীক্ষায় যে সব পড়ুয়ারা বস্তে চায় তাঁদের কোভিড পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে হবে। সেটি হলে তবেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে।'
* বুধবার সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের ওয়েবসাইটে দেখা গেল এমনটি একটি নোটিস। নোটিসে স্বাক্ষর করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল আর এস গাসপের।
* স্কুলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর রাখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ এই স্কুলটি কনটেনমেন্ট জোনে রয়েছে।
* কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশন-এর তরফে বলা হয়েছে যারা বাকি পরীক্ষায় বসতে চান তাঁরা প্রকাশিত হওয়া নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা দিতে পারবেন। যারা আগ্রহী নন, তাঁরা পরবর্তীতে কমপার্টমেন্টাল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন