Advertisment

স্কুল কলেজে ছুটি বাড়াল রাজ্য সরকার-জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে সরব তৃণমূল-মাহেশে বন্ধ রথযাত্রা-বায়না পেল না কুমোরটুলি

West Bengal, Kolkata Today Latest News Update: আজ বাংলার সব গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এক এক করে...

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অলঙ্করণ- অভিজিৎ বিশ্বাস

রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মেয়াদকাল বাড়াল মমতা সরকার।এদিকে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদীকে বিঁধল তৃণমূল। ৬২৫ বছরে এই প্রথমবার রথযাত্রায় মাহেশের রথের দড়িতে টান পড়ল না। অন্যদিকে, করোনার থাবা কুমোরটুলিতে, মনের মতো বায়না পেলেন না শিল্পীরা।আবার দলের অন্দরে ক্ষমতার মানচিত্র বদল হতেই পদ্মশিবিরে শোরগোল।তবে রথের দিন নিয়ম মেনেই খুঁটিপুজো শোভাবাজার রাজবাড়িতে। আজ বাংলার সব গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি পড়ুন এক এক করে...

Advertisment

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি বাড়াল মমতা সরকার

Tripura School প্রতীকী ছবি

রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মেয়াদকাল বাড়াল মমতা সরকার। ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বাংলার স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে বর্তমানে তার মেয়াদ বাড়ানো হল।

মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন, ‘বিজ্ঞপ্তির ধারা অপরিবর্তিত থাকবে, শুধু তারিখ বদলে ৩১ জুলাই করা হয়েছে। তবে স্কুল,কলেজে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের কাজ চলবে৷’।

অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার কী হবে? মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,” উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে আমারা প্রস্তুত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা,অন্যান্য বোর্ড বা অন্যান্য রাজ্যগুলি কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেই দিকেও আমরা নজর রাখছি। ২৬-২৭ জুনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ও ফাইনাল সেমিস্টার নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।

রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,

জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদীকে বিঁধল তৃণমূল

publive-image

এই প্রথমবার! টানা ১৭ দিন ধরে দাম বৃদ্ধি পেল পেট্রোল-ডিজেলের। আর এতেই ক্ষোভের আগুন জ্বালালেন তৃণমূল নেতৃত্ব। করোনা-লকডাউনের জেরে দেশ যখন অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে তখন মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে একের পর টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কোভিড-১৯-এর সময় দেশের মানুষ মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে, আর নরেন্দ্র মোদীজি রেকর্ড শুল্ক বৃদ্ধি করে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যখনই তেলের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে, তখনই তা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মর্যাদাহানিকর!"

নমোর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "ফের নরেন্দ্র মোদী তাঁর প্রিয় দেশবাসীর জন্য নতুন পরিকল্পিত বিপর্যয় ডেকে এনেছেন। ২০১৪ সাল থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলে শুল্ক বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৪৭.৮৯ শতাংশ এবং ৭৯৪.১০ শতাংশ। হ্যাঁ আপনারা ঠিকই পড়ছেন। আর নরেন্দ্রমোদী জি আপনাদের কোনও খেয়ালই রাখছেন না।'

অভিষেকের টুইট উল্লেখ করে ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন যে টানা ১৭ দিন ধরে বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম।



পেট্রোলের দামবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, "অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করে এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ভারত পেট্রোল এবং ডিজেলের এমন দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করতে চলেছে ভারত? কেন্দ্রীয় সরকার আবারও জনগণকে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। লজ্জাজনক!"

রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,

মাহেশে বন্ধ রথ, ভার্চুয়াল রথযাত্রা ইসকনের

publive-image এই প্রথমবার। মাহেশের রথের চাকা গড়াল না। ফাইল চিত্র

পুরীর রথযাত্রায় সুপ্রিম সম্মতি মিললেও ৬২৫ বছরে এই প্রথমবার মাহেশের রথের চাকা গড়াল না। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জগন্নাথ জিউ মন্দির ট্রাস্টের তরফে। ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রা আয়োজিত হলে মানুষের ভিড় ঠেকানো সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তারা। যদিও নিয়ম মেনে জগন্নাথ দেবের পুজোপাঠ চলবে মন্দিরে। পুরীর মন্দিরের নিয়ম মেনে রবিবার বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা, অভিষেক এবং চক্ষুদান করা হয়। যদিও শ্রীরামপুর মহকুমা শাসকের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয় রথযাত্রা বন্ধের সিদ্ধান্ত। তবে ১ জুলাই উল্টোরথ হবে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি মন্দির কর্তৃপক্ষ।

এদিকে করোনা সংকটের জেরে বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল রথযাত্রার আয়োজন করল ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস (ইসকন)। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় বদল আনতে বাধ্য হয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানান হয়েছে। সূত্রের খবর, আজ মায়াপুরে শুরু হয় এই উৎসব। গোটা উৎসব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে সম্প্রচার করা হয়। ভক্তদের কাছে কোড দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে সেই মতো তাঁরা নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী আরতি এবং ভোগ দিতে পারবেন। আগামীকাল সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত এই ভার্চুয়াল রথযাত্রা চলবে। ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার সদস্য এই ডিজিটাল রথযাত্রায় অংশ নেবেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,

রথের দিনও 'খালি হাতেই' কুমোরটুলি

publive-image ছবি- শশী ঘোষ

রথের দিন বায়না দিতে হয় ঠাকুরের। এটাই দূর্গাপুজোর রীতি-রেওয়াজ। কিন্তু করোনার থাবা পড়ল সেই রীতিনীতিতে। এল না পুজো কমিটির সদস্যরা। থিম দূরঅস্ত, আপাতত সাবেকি পুজোর দিকেই ঝোঁক বেশি বলে জানিয়েছেন প্রতিমা শিল্পী অপু পাল। গলায় তার মন খারাপের সুর। শেষ আশা ছিল রথের দিন, এদিনই বায়না আসবে বলে মনে করেছিলেন প্রতিমা শিপ্লীরা।

এখনও পর্যন্ত একটা কী দুটো করে ঠাকুর বানানোর অর্ডার পেয়েছে কুমোরটুলির শিল্পীরা। কুমোরটুলির আরেক মৃৎশিল্পী অপু পাল বলেন, “আমাদের কিছু কিছু তারিখ থাকে, যেদিন আমরা মূলত ঠাকুরের বায়না পাই। অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু করে বৈশাখ মাস ধরে অর্ডার আসতে থাকে। এরপর রথে মূলত সবচেয়ে বেশি অর্ডার আসে। প্রতিবছর মোটামুটি প্রায় ৪১ থেকে ৪৫ টা প্রতিমা তৈরি করি। যার মধ্যে ৩০টা আমার পুরানো বায়নাদার। সেখানে এবছর সেই সংখ্যা দুটো-তিনটে। তাও আবার সাইজ ছোট হয়ে গিয়েছে"।

রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,

বঙ্গ বিজেপিতে তীব্র অসন্তোষ, তৃণমূল-সিপিএমত্যাগীরা কেন বড় পদে?

bjp party office রাজ্য বিজেপির সদর দফতর। ফাইল চিত্র

লকডাউন চলছে ঠিকই কিন্তু এরমধ্যেই রীতিমত সরব বাংলার রাজনীতি। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে ঘুঁটি সাজানোর কাজ। তবে দলের অন্দরে ক্ষমতার মানচিত্র বদল হতেই পদ্মশিবিরে শোরগোল।

আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে কার্যত পাখির চোখ করে বঙ্গে ক্ষমতা বিস্তার করতে মরিয়া বিজেপি। সেই মোতাবেক তৈরি হয়েছে নতুন রাজ্য কমিটি। তবে দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতাদের সরিয়ে কেন তৃণমূল-সিপিএমত্যাগী নেতাদের বিজেপি রাজ্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হল তা নিয়েই দলের অন্দরে প্রশ্ন তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের ‘আদি নেতারা’। বিজেপিতে যোগ দেওয়া বেশ কয়েকটি নতুন মুখকে বিভিন্ন মোর্চার প্রধান করার মত সিদ্ধান্ত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করছে দলেরই একাংশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা বলেন, “যাঁরা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেলের, তাঁরা মূলত বহিরাগত। যাঁরা এতদিন ধরে দলের খারাপ এবং ভালো সময়ে পাশে থেকেছেন, দলের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করে এসেছেন, তাঁদেরই এখন দল উপেক্ষা করল। এইসব নতুন নেতারা সুবিধাবাদী। আগের দলে সুবিধা করতে না পেরে দলবদল করেছেন।”

রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,

রথের দিন নিয়ম মেনেই খুঁটিপুজো শোভাবাজার রাজবাড়িতে

publive-image

করোনা আঘাত হেনেছে দূর্গাপুজোয়। ক্লাব প্রাঙ্গনে পুজো হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও রয়েছে। কিন্তু রাজবাড়ির রীতিনীতি কি আর বদলাতে পারে! শোভাবাজার রাজবাড়ির মেয়ে কৃষ্ণা রাধাপ্রিয়া দেব বলেন," নিয়ম মেনে বড় বাড়িতে আজ খুঁটিপুজো হয়েছে। আদি অনন্ত কাল ধরে রথের দিনই ও বাড়িতে খুঁটি পুজো হয়। ছোট বাড়িতে উল্টো রথের দিন খুঁটি পুজো হয়। বাধা বিপত্তি আসবেই কিন্তু তাতে বাড়ির পুজো বন্ধ করা যাবে না। বাপ ঠাকুরদারা পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে"। তবে এবার রাজবাড়ির পুজো আপামর বাঙালি দেখতে পাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এবিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়তে থাকুন নীচে,

দিলীপ-মুকুলের পরস্পর বিরোধী অবস্থান কি বাংলায় পদ্ম ফোটাতে বাধা?

publive-image

কেন্দ্রীয় বিজেপি ২০২১ বিধনাসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে বাংলার দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকঢোল পিটিয়ে ভার্চুয়াল জনসভা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২৪ জুন থেকে জোন ভিত্তিক ৫টি ভার্চুয়াল জনসভা করবে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসকে গদিচ্যুত করতেই নানা কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই অবস্থায় নানা ইস্যুতে দলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর পিছনে কোনও সুপ্ত রাজনীতি থাকলেও তা যদি নীতিগত বিষয়ে মতানৈক্য হয় তাহলে প্রতিপক্ষের কাছে সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে।

* সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “যাঁরা কাপুরুষ তাঁরা ক্ষমার কথা বলে। হিংসা ছাড়া পৃথিবীতে কোনও দিন সমাধান হয়নি।” মোদ্দা কথা হিংসার সমাধান হিংসায়, মত দিলীপের। এর প্রেক্ষিতে বিজেপির জাতীয় কর্ম সিমিতির সদস্য মুকুল রায় বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”

* এর প্রেক্ষিতে বিজেপির জাতীয় কর্ম সিমিতির সদস্য মুকুল রায় বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।” অর্থাৎ বিজেপির এই দুই শীর্ষ নেতার বক্তব্য একেবারে বিপরীতধর্মী।

* মুকুল রায় যখন বলছেন, “করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য যথাযথ কাজ করেছে।” তখন প্রথম থেকেই দিলীপ ঘোষ করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করে আসছেন। তবে কি প্রতিপক্ষের সঙ্গে মূল লড়াইয়ের আগেই দলের অভ্যন্তরে নানা বিরোধ ক্রমশ প্রকাশ্যে চলে আসছে?

* কিন্তু দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের দুরকম ভিন্ন মত রাজনৈতিক মহলের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে না।

partha chatterjee abhishek banerjee West Bengal bjp tmc west bengal politics
Advertisment