বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। সেই নিম্নচাপ আরও বেশি জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। আবহাওয়া দফতরের শঙ্কা, আগামী ৯ মে এই গভীর নিম্নচাপই ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। সত্যিই যদি এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তবে তার নাম হবে 'মোচা'। আর এই 'মোচা'র ল্যান্ডফলের দিকেই এখন কড়া নজর আবহাওয়া-বিজ্ঞানীদের। ঘূর্ণিঝড় ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে বা আছড়ে পড়লে তার প্রভাব কোন কোন জায়গা পর্যন্ত পড়তে পারে তা নিয়েই চুলচেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে মোচা নামে এই ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য অভিমুখ হতে পারে মায়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে। তবে ঘূর্মিঝড় তৈরির সম্ভাবনার আগেও অবশ্য রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ৪ মে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। একইসঙ্গে হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। একইভাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আজ বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ার দাপট দেখা যাবে।
আরও পড়ুন- মাঝ রাতে অতর্কিতে হানা, ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য
তবে উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। নতুন করে আবারও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও প্রবল। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ফের একবার মাত্রাছাড়া গরমে ভোগান্তি বাড়তে পারে। এদিকে, শহর কলকাতায় আজ সকাল থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বিকেলের দিকে কলকাতা শহরে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।