সরে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব। বৃষ্টি এক প্রকার বিদায় নিয়েছে দক্ষিণের সমস্ত জেলা থেকে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে শনিবার সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এদিন সকাল থেকে হালকা ঠাণ্ডাবাতাস বইতে দেখা গিয়েছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে ঠাণ্ডার আমেজ।
টানা ৩ থেকে ৪ দিন বৃষ্টির দাপট চলার পর অবশেষে রেহাই মিলেছে। দক্ষিণের জেলাগুলিতে ফের আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন হতে দেখা যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আরও বাড়বে ঠাণ্ডা। গোটা রাজ্যেই তাপমাত্রার পতন লক্ষ্য করা যাবে। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
আপাতত আসন্ন শীতের পথে আর বাধা নেই। আগামী সপ্তাহ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান সহ অন্যান্য জেলাগুলিতে শীতের আমেজ যথেষ্ট উপভোগ করা যাবে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরে জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ।
আগামী সপ্তাহ থেকে বেশ খানিকটা কমবে তাপমাত্রার পারদ। এবার শীতের ইনিংস শুরু হতে চলেছে পূর্বভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। চলতি মরশুমে শীতের পথে বারবার বাধা এসেছে। শুক্রবার সকালেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এফেক্ট জারি ছিল শহর কলকাতায়। তবে শনিবার সকাল থেকে হাওয়া বদল কলকাতায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার কলকাতার তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আগামী দু’দিনের মধ্যে ২০ ডিগ্রির নীচে নেমে যেতে পারে শহর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কলকাতা শহরে পারদ নামার ইঙ্গিতের পাশাপাশি জেলাগুলিতেও তাপমাত্রা কমবে। আগামী দিন চারেকের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে শীতের জোরালো আমেজ মিলতে পারে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর তীব্র শীতের পরশ সম্ভবত মিলবে না। শীতের মরশুমের এই কয়েকমাস স্বাভাবিকভাবে যে তাপমাত্রা থাকে এবছর তার চেয়ে বেশি থাকবে তাপমাত্রা।
শীতের শুরুতেই দার্জিলিঙে তুষারপাত হয়েছে। পাহাড় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকের দল এখন উচ্ছ্বাসের স্রোতে ভাসছেন। গোটা উত্তরবঙ্গে এখন দারুণ আবহাওয়া। যদিও কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। মোটের উপর শীতের পরশ গায়ে মেখেই ঘুরছেন পর্যটকরা। আপাতত উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই আবহাওয়ার বিশেষ হেরফের হবে না। দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ অন্য জেলাগুলিতে তাপমাত্রা একই রকম থাকবে।