/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/police-1.jpg)
আনিস খান মৃত্যু তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ পুলিশের।
এবার নাম না নিয়ে আনিস খানের পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ রাজ্য পুলিশের। তদন্তে দেরি করানোর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিদিন হিংসাত্মক বিক্ষোভ চলছে বলেও অভিযোগ পুলিশের। হাইকোর্টের নির্দেশে চলা সিটের তদন্তে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও পুলিশের অভিযোগ উড়িয়ে এদিন আবারও ভাইয়ের মৃত্যু-তদন্তে সিবিআই দাবিতেই সোচ্চার দাদা সাবির খান।
উল্লেখ্য, শনিবার ভোররাতে আমতায় আনিস খানের মৃতদেহ কবর থেকে তুলতে যায় পুলিশ। স্থানীয় বিডিও-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় যায়। তবে এদিন পুলিশকে আনিসের দেহ তুলতে বাধা দিয়েছে মৃত ছাত্রনেতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। বাধ্য হয়েই ফিরে যেতে হয় সরকারি কর্মীদের।
আলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা আনিস খান মৃত্যু মামলায় তদন্তে করছে রাজ্য পুলিশের সিট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই আনিসের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আনিসের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করতে হবে। শনিবার ভোররাতে আনিসের মরদেহ কবর থেকে তুলতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিডিও ও পুলিশকর্মীরা।
SIT is investigating the Anish khan case under the directions of the Hon’ble High Court but violent demonstrations are being organized daily at Amta PS and SP office with the ulterior motive of derailing and delaying the investigation.
— West Bengal Police (@WBPolice) February 26, 2022
আনিসের মৃতদেহ তোলার ক্ষেত্রে বাধা নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য পুলিশ। এদিন টুইটে পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, ''সিট মাননীয় হাইকোর্টের নির্দেশে আনিস খান মামলার তদন্ত করছে। কিন্তু তদন্ত সঠিক পথে চালনার ক্ষেত্রে বাধা পড়ছে। তদন্তে দেরি করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আমতা থানা এবং এসপি অফিসে প্রতিদিন হিংসাত্মক বিক্ষোভের আয়োজন করা হচ্ছে।''
আরও পড়ুন- সিট আধিকারিক নয়, ভোরে আনিসের দেহ তুলতে বিডিও-র নেতৃত্বে পুলিশ! ‘চুরির চেষ্টা’- দাবি বাবার
তবে আনিসের পরিবারের অভিযোগ, অসুস্থতার কারণে আগামী সোমবার কবর থেকে ছেলের দেহ তোলার আর্জি জানিয়েছিলেন আনিসের বাবা সালেম খান। তা সত্ত্বেও শনিবার ভোররাতে আমতার দক্ষিণ সারদা গ্রামে হাজির হন বিডিও ও বিশাল পুলিশবাহিনী। ছাত্র নেতার পরিবার ও স্থানীয়দের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে দেহ না তুলেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন সরকারি কর্মীরা।
এপ্রসঙ্গে আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, ''আজ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবো। পুলিশকে জানিয়েছিলাম। তাও ওরা এলো দেহ তুলতে। আমরা তো কের্টের রায় মেনে পুলিশকে সহযোগিতা করছি। এবার জোরাজুরি করলে সোজা সুপ্রিম কোর্টে যাবো।''