রাজ্যজুড়ে বিশেষ করে হাওড়া এবং মুর্শিদিবাদে পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে যে বিক্ষোভ-অশান্তি হয়েছে তাতে কড়া পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের। এখনও পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি অশান্তি সৃষ্টিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, রাস্তা অবরোধ, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের অপরাধে যে বা যারা যুক্ত থাকবে কাউকে ছাড়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন আর বরদাস্ত করা হবে না। এবার কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। দুদিন ধরে হাওড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত করে আন্দোলনের নামে এই তাণ্ডব চলতে পারে না। পাপ করবে বিজেপি আর ভুগবে জনগণ! প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কড়া হাতে দমন করে পুলিশ। বহু অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়। চলে অশান্ত এলাকায় রুট মার্চ।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বার্তা দিয়েছে, কোনও ধরনের উস্কানিমূলক, ভুয়ো খবর ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে। কোনও ভিডিও, ছবি বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এমন কিছু শেয়ার না করতে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ধরনের কাজ করলে আইনমাফিক কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন ‘পূর্ব মেদিনীপুরেও ১৪৪ ধারা?’ পুলিশ পথ আটকাতেই রেগে অগ্নিশর্মা শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্যের আরও এক জেলায় বিক্ষোভ-অশান্তি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসনও। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই এবার হাওড়ার পর এবার মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গাতাতেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।
পয়গম্বর নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্কের জেরে উত্তাল পরিস্থিতি। গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভের নামে কার্যত তাণ্ডব চলছে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। হাওড়ার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের রেজিনগর, বেলডাঙাতেও বিক্ষোভ চলেছে। একাধিক জায়গায় পথ অবরোধে করে চলে প্রবল বিক্ষোভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি পুলিশ সূত্রের। গতকালের বিক্ষোভের পর এবার আরও বেশি সতর্ক রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।