বিক্ষিপ্ত সমস্যা ছাড়া মোটের উপর নির্বিঘ্নেই শেষ হল প্রাথমিকের টেট। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় রবিবার কড়া নিরাপত্তায় টেট দিলেন প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী। ছোটখাট কিছু অভিযোগ উঠেছে, তবে বড় কোনও সমস্যা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, "নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে প্রাথমিকের টেট। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।" তিনি অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীদের।
এদিন ব্রাত্য বলেছেন, "সমস্ত পরীক্ষার্থীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। গণউৎসবের মতো পরীক্ষায় শামিল হয়েছেন তাঁরা।" প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় রাজ্য। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ একাধিক শিক্ষা আধিকারিক জেলবন্দি। উচ্চ আদালত বারবার রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছে দুর্নীতি নিয়ে। এই অবস্থায় রবিবার নির্বিঘ্নে টেট সম্পন্ন করা নবান্নের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
দুর্নীতি ইস্যুতে ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, পিছনের দিকে না ফিরে সামনে তাকানো উচিত। অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, "রবিবার যে এত সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা মিটেছে, তার জন্য কয়েক জনকে ধন্যবাদ না দিলেই নয়। প্রথমেই ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীকে।" তার পর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পুলিশ, প্রশাসন, জেলাস্তরের শিক্ষা আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন ‘টেট বানচালের চেষ্টা’, পরীক্ষা চলাকালীনই মারাত্মক অভিযোগে শোরগোল ফেললেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী
উল্লেখ্য, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে শেষবার হয়েছিল প্রাইমারি টেট। তার পর রবিবার হল পরীক্ষা। তবে এবার টেট শুরুর আগে থেকে বিরোধীদের একাংশ পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করেছিলেন বলে মারাত্মক অভিযোগ এনেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ”ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়ানো হচ্ছিল। ভুয়ো প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা হচ্ছিল। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করা হয়েছে। বিরোধীদের একাংশ নানাভাবে পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করছিল। হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়ো প্রশ্ন ঘুরেছে। কিন্তু মূল প্রশ্নের সঙ্গে ওই প্রশ্নের কোনও সম্পর্ক নেই।”