শুরু প্রাথমিকের টেট। ৫ বছর পর আজ রাজ্যে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার আয়োজন রবিবার। টেট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন সুরক্ষার বন্দোবস্ত রাজ্য সরকারের। পরীক্ষাকেন্দ্র-সহ আশেপাশের এলাকায় চূড়ান্ত নিরাপত্তা পুলিশের। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর মেশিনের পাশাপাশি সিসিটিভি রাখা হয়। প্রাথমিকের টেট নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে এযেন কঠিন চ্যালেঞ্জ রাজ্য প্রশাসনের কাছে। ৬ জেলায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। রাজ্য প্রথামিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে চালু হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে খুলে দেওয়া হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজা। বেলা ১১টার পর পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। বেলা ১২টা থেকেই শুরু হয়ে যায় এবছরের প্রাথমিকের টেট।
নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। গত কয়েকমাস ধরে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকস্তর থেকে শুরু করে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি সহ সরকারি নানা পদে নিয়োগে দুর্নীতির পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ সামনে এসেছে। টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি কার্যত 'বিক্রি' হয়েছে বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এখনও জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গারদের পিছনেই দিন কাটছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও।
নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্দে সীমাহীন অভিযোগ বিরোধীদের। এই আবহেই হচ্ছে এবারের প্রাথমিকের টেট। ৫ বছর পর আজ রাজ্যে টেট। জানা গিয়েছে, এবছর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় বসতে চলেছেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন পরীক্ষার্থী। প্রাথমিকের টেট নির্বিঘ্নে ও কোনও বিতর্ক ছাড়াই সুষ্ঠু গতিতে শেষ করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে প্রশাসনও। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বাড়তি যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে। রবিবার টেট পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কম সময়ের ব্যবধানে মেট্রো চালানো হচ্ছে। মেট্রোর সংখ্যাও বা ড়নো হয়েছে। প্রয়োজনে সেই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।
আরও পড়ুন- মেডিক্যাল কলেজে জারি আন্দোলন, অনশনেই ‘অধিকার’ ছিনিয়ে নিতে প্রত্যয়ী ডাক্তারি পড়ুয়ারা
পরীক্ষীকেন্দ্র লাগোয়া এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্চে পুলিশ। বহু পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরের বেশ কিছুটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ৬ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করেছে প্রশাসন। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মুর্শিদাবাদে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।