Advertisment

স্কুল শিক্ষকদের টিউশন বন্ধ না করলে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি গৃহশিক্ষকদের

গৃহশিক্ষকের দাবি, স্কুল শিক্ষা এ রাজ্যে হয়ে গেছে গৌণ, মুখ্য হয়ে উঠেছে প্রাইভেট টিউশন। তবে ১০ শতাংশ স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা করা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাকি ৯০ শতাংশ স্কুল শিক্ষক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

এবার পথে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের গৃহশিক্ষকরা। স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার সমান্তরাল আরেকটি বেআইনি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন রাজ্যের ১০ শতাংশ স্কুল শিক্ষক, এমনই অভিযোগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। বুধবার বিকাশ ভবনে তাঁদের ছয় দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা।

Advertisment

গৃহশিক্ষকের দাবি, স্কুল শিক্ষা এ রাজ্যে হয়ে গেছে গৌণ, মুখ্য হয়ে উঠেছে প্রাইভেট টিউশন। তবে ১০ শতাংশ স্কুল শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা করা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাকি ৯০ শতাংশ স্কুল শিক্ষক। তাই অবিলম্বে স্কুল শিক্ষকদের টিউশন বন্ধ করতে হবে। এই টিউশনের জেরে দিনের পর দিন অনিয়মিত ক্লাস করছে ছাত্রছাত্রীরা। গৃহশিক্ষকদের প্রশ্ন, স্কুল শিক্ষকরা যদি বাড়িতেই পড়ান, তবে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাবে কেন?

দেখা গেছে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শুধুমাত্র প্র্যাক্টিক্যালের জন্য স্কুলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। ক্ষুদ্ধ গৃহশিক্ষকরা পার্থবাবুকে জানিয়েছেন, রাজ্যের একাধিক স্কুল শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের বলে থাকেন, "প্রজেক্টে নম্বর পাবি না যদি আমার ব্যাচে না পড়িস।" তবে কারোর নাম করে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

publive-image পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ পশ্চিমবঙ্গের গৃহশিক্ষক সমিতি

গৃহশিক্ষকরা অভিযোগ জানিয়েছেন, ডিআই অর্থাৎ ডেপুটি ইন্সপেক্টররা শুধুমাত্র মুচলেকা জমা নেন, যাতে লেখা থাকে, "আমি কোনোভাবেই প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে জড়িত নই"। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা বাড়িতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীকে টিউশন দেন। গৃহশিক্ষক সমিতির সহকারী সম্পাদক সোহম ভট্টাচার্য বলেন, "পার্থবাবু জানিয়েছেন, বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। বৈঠকে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে এই সমস্যার সমাধান না হলে আগামীদিনে পথে নামতে চলেছি আমরা, কারণ স্কুল শিক্ষকদের একচেটিয়া বেআইনি টিউশনের ফলে গৃহশিক্ষকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।"

এদিন বৈঠকে সমিতির প্রতিনিধিরা দাবি জানান, রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্টের ২৮ নং অনুচ্ছেদ এবং কলকাতা গ্যাজেট, ২০১৮-র যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ডিআই, এইচএম এবং এসআই দের হাতে প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত স্কুল শিক্ষকদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দিতে হবে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনে বিশেষ সেল গঠন করতে হবে। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁরা জানান, "গৃহশিক্ষকদের পেশা স্বীকৃতি পেলে বেকারত্বের হার কমবে এবং লোন থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা গৃহশিক্ষকরা আগামীদিনে পেতে পারবেন।"

Education kolkata news kolkata
Advertisment