বাড়ল আতঙ্ক। এবার পশ্চিমবঙ্গে হদিশ মিলল ওমিক্রনের আক্রান্তের। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের ফারাক্কার সাত বছরের এক শিশুর শরীরে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে।
গত ১০ ডিসেম্বর আবুধাবি থেকে হায়দ্রাবাদে পৌঁছায় ওই শিশু ও তার পরিবার। হায়দ্রাবাদেই নমুনা পরীক্ষা হয় শিশুটির। জানা যায় সে করোনা পজিটিভ। সঙ্গে সঙ্গে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট পাঠানো হয়। এরপর উড়ানেই তারা ফেরে এ রাজ্যে। পরে ট্রেনে করে যায় মালদহে। পরীক্ষায় জানা যায় যে, ওই শিশুর দেহে ওমিক্রন ভাইরাস রয়েছে। তেলেঙ্গানা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এ রাজ্যেকে এই খবর জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, ওই শিশু আপাতত আইসোলেশনে রয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। তার শরীরে মৃদু উপসর্গ থাকলেও অবস্থা স্থিতিশীল। সংক্রমিতের বাবা-মা-র করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু শিশুটির সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের খোঁজ চলছে। শিশুটির অভিভাবক ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সাতদিন আইসোলেশনে থাকতে বলেত পারে স্বাস্থ্য দফতর।
মুর্শিদাবাদের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছেন, 'খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি শিশুটি এখন মালদহে মামার বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে। এখন মালদহ প্রশাসনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।'
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রোটোকল মেনে ফের ওই শিশুর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কল্যাণীতে পাঠানো হবে। সেখানেই হবে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট। শিশুটির অভিভাবকদের আরটি পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। পজিটিভ হলে তাঁদের নমুনাও কল্যাণীর জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবে পাঠানো হবে।
কিন্তু প্রশ্ন, করোনা পজেটিভ জানার পরও কীভাবে ওই শিশু কী ভাবে উড়ানে কলকাতা ও ট্রেন পথে ফরাক্কা মালদহে পৌঁছল? বিমানবন্দর ও স্টেশনের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এখনও পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬১ জন। তবে, মোরাদাবাদ থেকে নিখোঁজ বিদেশ ফেরত ১৩০ জনের খোঁজ মিলছে না বলে জানা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন