করোনা লকডাউনের জের। রাজ্যের তহবিলে রাজস্ব অমিল। তাই ব্যয় সঙ্কোচনে কড়া পদক্ষেপ নবান্নের। অর্থ দফতরের অমুমোদন ছাড়া কোনও প্রকল্পই চালু করা যাবে না বলে রাজ্য সরকারি অন্যান্য দফতরগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়োগও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নতুন গাড়ি, আইটি-র যন্ত্র, আসবাব, কুলার, শীতাতপ যন্ত্র, টিভি সহ অন্যান্য সামগ্রী কেনা যাবে না। তবে, সঙ্কোচনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন, পেনশন, চলতি সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প ও করোনাভাইরাস রোধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- সেগুলিকে।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, 'রাজ্যের আয় নেই-কেবল ব্যয় রয়েছে। এর মধ্যেও মাসের প্রথম দিনই রাজ্য সরকারি সব কর্মীর সম্পূর্ণ বেতন দিয়ে দিয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'সামাজিক পেনশন খাতে রাজ্য ইতিমধ্যেই দু'মাসের হিসাবে ৩৫.১ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এর আওতাধীন তফসিলি জাতি-উপজাতির মানুষদেরও টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন- LIVE ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে ২,৯০২, মৃত ৬৮
রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে রেশন আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বেজেপি। সেই অভিযোগ উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কোনও কোনও রাজনৈতিক দল বোঝানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার রেশন দেয়। কেন্দ্র এ পর্যন্ত কিছুই দেয়নি, এমনকী একটা মাস্কও দেওয়া হয়নি।' উল্লেখ্য, গত বুধবারই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকা দাবি করে মমতা সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে প্রধানমন্ত্রীকে মোদীকে চিঠি লিথে সেই অর্থের দাবি জানানো হয়। মমতা জানিয়েছিলেন যে, দাবিমত অর্থ রাজ্যকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইউয়ে পারস্পারিক সংহতি জানাতে আগামী রবিবার রাত ৯টায় বাড়ির আলো ৯ মিনিটের জন্য নিভিয়ে মোববাতি, প্রদীপ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালানোর আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, 'কেউ যদি মনে করেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর আর্জি মানতেই পারেন, আবার কেউ যদি ভাবেন তিনি ঘুমবেন- তিনি ঘুমতেই পারেন।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন