বিউটিশিয়ানের কাজ করতেন স্ত্রী। পছন্দ না হওয়ায় স্ত্রীকে খুন করে বস্তাবন্দি দেহ মহানন্দা ক্যানালের জলে ফেলে দিলেন স্বামী! ফাঁসিদেওয়া ব্লকের সুদামগছের ঘটনা। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত নিজেই থানায় স্ত্রী-র নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করতে থানাতেও যান।
অভিযুক্ত যুবক মহম্মদ আনসারুল পেশায় রং মিস্ত্রি। বাড়ি শিলিগুড়ির দাদা ভাই কলোনিতে। স্ত্রী রেণুকা খাতুন (২৩)কে বছর চারেক আগে সামাজিক ভাবেই বিয়ে করেন। রেণুকার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, এক সময় দম্পতির মধ্যে সাংসারিক অশান্তি ছিল। কিন্তু পরে তা মিটে যায়। সম্প্রতি শিলিগুড়ি কলেজ পাড়ায় একটি পার্লারে কাজ শুরু করেন স্ত্রী রেণুকা। নিজেই স্ত্রী-কে কর্মস্থলে পৌঁছে দিতেন ও সেখান থেকে নিয়ে আসতেন আনসারুল।
এরই মধ্যে গত বছর ২৪ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান রেণুকা। প্রথমে ভক্তিনগর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করতে প্রতিবেশী এবং পরিবারের সকলের সঙ্গে থানাতেও গিয়েছিলেন আনসারুল। এরপর রবিবার শিলিগুড়ি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনসারুলকে আটক করে পুলিশ। জেরায় আনসারুল স্বীকার করে, স্ত্রীকে টুকরো করে বস্তাবন্দি করে ক্যানালের জলে ফেলে দিয়েছে সে। মৃতদেহ যাতে ভেসে না ওঠে সে ব্যবস্থাও করতে বস্তায় পাথরও ঢুকিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন অর্থাভাবে মহিলার দেহ কাঁধে হাঁটলেন স্বামী-ছেলে, কালাহান্ডির লজ্জা জলপাইগুড়িতে
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি থানা এবং ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিপর্যয় মোকাবিলা দল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যানালের জলে নেমে তল্লাশি চালায়। তবে, ক্যানালে জল বেশি থাকায় এবং অন্ধকার নেমে আসায় শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশ রক্তের দাগ আবিষ্কার করেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীকে দুই টুকরো করে খুন করার যে প্রসঙ্গ সামনে এসেছে তা অমূলক বলেও উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ।
খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জের ধাপড়া থেকে রেণুকার ভাইপো মহম্মদ সেলিমও ফাঁসিদেওয়া আসেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দিক।