করোনা লকডাউন পরিস্থিতিতে বাংলায় অফিস খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বদল করল মমতা সরকার। আগামী ৮ জুন থেকে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খুলবে সরকারি অফিস, এদিন টুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমফান পরবর্তী রাজ্যে পুনর্গঠনের কাজে এই সিদ্ধান্ত বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তবে বেসরকারি সংস্থা কতজন কর্মী নিয়ে কাজ করবে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শও এদিন দিয়েছেন মমতা।
উল্লেখ্য, এর আগে এদিনই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, ''''আগামী ৮ জুন থেকে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সমস্ত অফিস খুলবে। তবে নিয়মকানুন মানতে হবে''।
With multiple crises in the state, we've decided to increase State Government workforce capacity from 50% to 70%. Continuation of restoration work is one of the top priorities & this workforce increase will ensure that public services are uninterrupted and unhindered. (1/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 29, 2020
আগামী ১ জুন থেকে বাংলায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলছে, শুক্রবার নবান্নে এমনটাই ঘোষণা করলেন মমতা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''১ জুন থেকে সকাল ১০টা থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলবে। তবে কোনও ধর্মীয় জমায়েত বা সভা করা যাবে না। ১০ জনের বেশি ঢোকা যাবে না। এই দুঃসময়ে আমাদের প্রার্থনা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। যদি ট্রেনে গাদাগাদি করে হাজার হাজার লোক যাতাযাত করতে পারেন, তাহলে মন্দির-মসজিদও খুলতে পারে, এটা আমি ভেবেছি''।
আরও পড়ুন: বাংলায় বিধি বদল: পাঁচ রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিক ব্যাতীত অন্যদের হোম কোয়ারেন্টিন
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে বিঁধে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ''বাইরের ভাই-বোনেরা আসছেন আমি খুশি। একটা সিটে কেন ৩-৪ জন বসে আসবেন। গাদাগাদি লোক একসঙ্গে ঢুকিয়ে আনা হচ্ছে, তাঁদের মধ্য়ে করোনা কীভাবে বাড়ছে? মহারাষ্ট্র, চেন্নাই, গুজরাত, মধ্য়প্রদেশ, দিল্লি, হটস্পট থেকে ট্রেন আসছে। রেল মন্ত্রী অতিরক্ত ট্রেন দিন। আপনারা নিজেরাই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। লোকগুলোকে জল খাবার দিচ্ছেন না। কেউ কেউ ট্রেনে মারা যাচ্ছেন। মা মারা গিয়েছে স্টেশনে, বাচ্চা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেন মানছেন না? শ্রমিক এক্সপ্রেসের নামে করোনা এক্সপ্রেস চালাচ্ছেন! আপনাদের তো অনেক ট্রেন আছে। রোটেশন করে করুন। যখন বড় তীর্থযাত্রা হয়, তখন কী হয়, ট্রেন বেশি চালানো হয়। এখন তো চলছেই না, যেটুকু চলছে, বেশি চালান। একেকজনকে একেকটা সিটে বসতে দিন। আমরা তো পুরো খরচা দিচ্ছি। তা না করে হাজার হাজার লোককে গাদাগাদি করে পাঠাচ্ছেন। দমবন্ধ ঘরের মতে করে নিয়ে আসছেন। যার ছিল না, তারও করোনা হচ্ছে। তাহলে মন্দির-মসজিদ-গির্জার কী দোষ হল বলুন। আপানরা যদি এটা করতে পারেন, তাহলে কীসের জন্য় মন্দির-মসজিদ বন্ধ রাখব''।
আরও পড়ুন: মমতা মন্ত্রিসভায় করোনা! আক্রান্ত দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু
মন্দির খোলা প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, ''মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বারে ঢুকতে গেলে স্য়ানিটাইজ ব্য়বহার করতে হবে। এখন পয়সার কথা ভাবলে হবে না। বেশি পুজো নেব, টাকা পাব বলে, এটা করা যাবে না। অল্প অল্প করে করতে হবে''।
একইসঙ্গে ১ জুন থেকে চা বাগান ও জুট শিল্পে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজে যোগ দেওয়া যাবে বলে এদিন জানিয়েছেন মমতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন