/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/India-coronavirus-759.jpg)
প্রতীকী ছবি।
অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে একথা বলা হয়েছে। কোচবিহার, নর্থ বেঙ্গল, রানিগঞ্জ, মালদা, বর্ধমান, এবং মেদিনীপুর সহ মোট ১৪টি মেডিক্যাল কলেজে এবার থেকে র্যাপিড টেস্ট করা হবে।
শুক্রবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করার পরামর্শ দেয়। এরপরই শনিবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ওই নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যেও শুরু হবে র্যাপিড টেস্ট।
রাজ্যের হটস্পট ও ক্লাস্টার ছাড়াও যেসব এলাকাকে সন্দেহজনক মনে করা হবে, সেসব এলাকায় র্যাপিড টেস্ট করা হবে। তবে যে ১৪টি মেডিক্যাল কলেজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের তত্ত্বাবধানেই এই টেস্ট হবে। উল্লেখ্য, প্রথমে রাজ্যের সমস্ত 'রেড জোন'এ করা হবে র্যাপিড টেস্ট।
আরও পড়ুন: রাজ্যে শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিক করোনা আক্রান্ত, স্বাস্থ্য সচিবকে কোয়ারান্টাইনে পাঠানোর ভাবনা
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/04/medical-collge-rapid-test.jpeg)
টেস্টের ফলাফল জানানো হবে না রোগীকে। সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ থেকে সেই টেস্ট রিপোর্ট পৌঁছে যাবে আইসিএমআর-এ। তারা রিপোর্ট প্রকাশ করবে। টেস্টের সময় রিপোর্ট গোপন রাখা হবে। বলা হয়েছে ই-মেইল মারফত পাঠাতে হবে রিপোর্ট।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট দুর্মূল্য। তাই স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি ছাড়া কিট ব্যবহার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, শনিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা দাবি করেছিলেন, রাজ্য র্যাপিড টেস্টিং-এর জন্য প্রস্তুত, কিন্তু এখনও কোনও কিট আসে নি। "র্যাপিড টেস্ট কিট পেলেই আমরা কন্টেইনমেন্ট এলাকাগুলিতে নজর দেব। হাওড়া, উত্তর কলকাতা, এবং উত্তর ২৪ পরগণার বহু এলাকায় আমরা জরুরি সামগ্রীর বাড়ি বাড়ি ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করছি। এর পর আমরা স্বাস্থ্য, সিভিল, এবং পুলিশ কর্মীদের নিয়ে একটি যৌথ দল গঠন করব, যাঁরা এইসব এলাকায় গিয়ে যথেচ্ছ চেকিং করবেন," বলেছিলেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন