বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। করোনা নিয়ে সচেতন করতে লকডাউনে রাস্তায় ঘুরলেন এক চিত্র শিল্পী। এদিকে বুধবারের লকডাউনেও বেশ কড়া নজরদারি চালায় পুলিশ। এদিন গত সপ্তাহের চেনা ছবি ধরা পড়ে। রাস্তা-ঘাট শুনশান। এদিকে এরই মাঝে রূপ বদলাচ্ছে শিয়ালদা স্টেশন। জোরকদমে কাজ চলছে। করোনার মাঝেই আবার ডেঙ্গু আতঙ্ক হাওড়ায়। সতর্ক হাওড়া জেলা প্রশাসন।
বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ বিজেপির
বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বুধবার রামনগরের হলদিয়া ২ অঞ্চলের ৪১নং অর্জুনি বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি পূর্নচন্দ্র দাসের দেহ উদ্ধার হয় পান বোরোজের মধ্যে। ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কাঁথির বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, "এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।" এই ঘটনায় জড়িত নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তরদিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। যদিও পুলিশ জানিয়ে দেয় ওই বিধায়ক সুইসাইড করেছে। তারপর নদীয়ার আর এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এবার পূর্ব মেদিনীপুর। বিজেপির বক্তব্য, "পূর্নচন্দ্র দাসকে ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব মঙ্গলবার ডেকে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তিনি তৃণমূলের ওই সব নেতৃত্বের ডাকে যাননি। এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার সকাল থেকে উনি নিরুদ্দেশ হন এবং বিকালে পান বোরোজের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় পূর্ণচন্দ্র দাসের পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসীরা তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ এনেছেন।"
যদিও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, "পারিবারিক সমস্যা ছিল। অকারণে তৃণমূলকে অভিযুক্ত করছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছে। দীর্ঘ বছরে রামনগরে কোনও রাজনৈতিক খুনের ইতিহাস নেই।"
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
সচেতন করতে স্কুটারের রঙই বদলে দিলেন শিল্পী
লকডাউনের রাস্তায় ঘুরছেন চিত্র শিল্পী তারক দাস। করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মধ্যমগ্রামের এই চিত্র শিল্পী নিজের স্কুটার ও হেলমেটে লাল-সাদা রঙে ছবি এঁকে ফেলেছেন। তাঁর স্কুটারে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশাবলী ও করোনা ভাইরাসের ছবি রয়েছে। বুধবার লকডাউনের মধ্যে বারাসত ও মধ্যমগ্রামের অলিগলি ঘুরেছেন। যেখানে মানুষ আড্ডা জমিয়েছেন সেখানে তাঁদের বুঝিয়েছেন। লকডাউনের রাস্তায় বাইরে বের হলেই রেরে করে উঠছে পুলিশ। কারণ দর্শাতে না পারলেই যখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে বা বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। ঠিক তখন কড়া লকডাউনেও পুলিশ স্বাগত জানাচ্ছে তারক দাসকে। তিনি বলেন, "মানুষকে বলছি বাড়িতে থাকুন। বাইরে বের হলে মাস্ক পড়ুন। ডাক্তার বা পুলিশ নয় আমাদেরও সচেতন থাকতে হবে।"
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
বুধবারের লকডাউনে আরও কড়া পুলিশ
আগের দিনের চেনা ছবি ধরা পড়ল বুধবারের লকডাউনে। এদিন সর্বত্র ছিল পুলিশের নাকা চেকিং। কেন বেরিয়েছেন? তার কারণ দর্শাতে না পারলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। যারা বেরিয়েছেন তাঁরা অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেককেই বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিনও বিভিন্ন জেলায় লকডাউন অমান্যকারীকে কান ধরে উঠ-বসের ছবি ধরা পড়েছে। তাছাড়া লাঠির দাওয়াই তো ছিলই। গত সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শনিবার লকডাউন ছিল। এদিন সকাল থেকে কলকাতা ও রাজ্যের রাস্তা-ঘাট একেবারে শুনশান ছিল। জরুরি ক্ষেত্রে ছাড় ছিল। এদিন আরও কড়া নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ। ড্রোনের ব্যবহারও করেছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। শনিবারের লকডাউনে ইএম বাইপাশে দুই পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মেরেছিল বেপরোয়া গাড়ি। তাই এদিন বাইপাশে বাড়তি নজরদারি ছিল পুলিশের।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
নতুন রূপে সাজছে শিয়ালদা
লকডাউনের মাঝেই বদলেছে শিয়ালদা স্টেশনের প্লাটফর্মের নম্বর। এবার নতুন রূপে সজ্জিত হচ্ছে প্লাটফর্ম চত্বর। লকডাউনেই শতাব্দী প্রাচীন এই রেল স্টেশনের ম্যারম্যারে রূপকে ঝাঁ চকচকে ও আকর্ষণীয় করতে জোরকদমে কাজ করছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ। গ্রানাইট ফ্লোরিং থেকে ফলস সিলিং, লাইটিং, অসাধারণ আঁকা ছবি সহ নানা উপকরণে সেজে উঠছে এই স্টেশন। জানা গিয়েছে, এক নম্বর প্লাটফর্মের দিকে টিকিট কাউন্টার ও প্রবেশ পথও বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। তবে আগের শিয়ালদা প্লাটফর্ম আর সেজে ওঠার পরের চিত্র দেখলে যে কেউ অবাক হতে বাধ্য। শিয়ালদা স্টেশনে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে। একাধিক লোকাল ও মেইল-এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়মিত আসে-যায়। এখন সপ্তাহে দুটি এক্সপ্রেস ট্রেন যাতায়াত করে।
প্রতিবেদনটি বিস্তারিত পড়ুন- শিয়ালদা স্টেশনকে লকডাউনের পর আর চিনতে পারবেন না!
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও সতর্ক হাওড়া
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে হাওড়ায়। বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সাধারণত শহরাঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত শহরেই ৩৬জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরসুত্রে জানা গেছে, সালকিয়ার বাসিন্দা এক ছাত্রের ডেঙ্গুতে মৃত্যুও হয়েছে। একদিকে করোনা সঙ্গে ডেঙ্গু, চিন্তায় ঘুম উড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য বছরের মত এই বছরেও ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে খবর নিচ্ছেন। নিয়মিত রোগ পরীক্ষার কাজ চলছে। হাওড়া পুরসভার এক কর্তা জনান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে শহর জুড়ে পুরসভার ২২টি টিম কাজ করছে। এই টিম সারা শহর ঘুরে মশা মারার লার্ভিসাইড তেল সম্ভাব্য মশা জন্মানোর জায়গাগুলোতে স্প্রে করছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন