Advertisment

হাসপাতাল ফেরাল, পথেই মৃত্যু যুবকের।। বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু, উত্তপ্ত মানিকতলা।। করোনা মুক্ত হয়েও হাসপাতালে

এই প্রতিবেদনে শুক্রবারের সব গুরুত্বপূর্ণ খবর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হাসপাতালে বেড না পেয়ে বিনাচিকিৎসায় পথেই মৃত্যু হল এক যুবকের। এদিকে এক মহিলার বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠল মানিকতলা। হাওড়ায় অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় চিকিৎসক ছুটি দিলেও একদিনের বেশী হাসপাতালেই আটকে থাকতে হল তিন জন করোনামুক্ত রোগীকে। কলেজ ফি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কীভাবে ভর্তির ফর্ম ক্রয়ের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে তা নিয়ে মূলত বিভ্রান্তি।

Advertisment

হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ায় পথেই মৃত্যু যুবকের

publive-image বিনাচিকিৎসায় পথেই মৃত্যু হল ব্যারাকপুরের বড় কাঠালিয়ার যুবকের।

ফের হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে বেড না পেয়ে বিনাচিকিৎসায় পথেই মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যারাকপুরে। অভিযোগ, করোনা সন্দেহে ওই যুবককে কোনও হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি।

হাসপাতালে ভর্তি হতে না পেরে ব্যারাকপুরের বড় কাঠালিয়ার বাসিন্দা দীপঙ্কর সিংহ রায়ের(২২) মৃত্যু হল পথে গাড়িতে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারাকপুর পুরসভার মাতৃসদন হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর একের পর এক হাসপাতাল ফিরিয়ে দেয় দীপঙ্করকে। পরে ব্যারাকপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত যুবকের বাবা লক্ষ্মন সিংহ রায় বলেন, আমার ছেলের বিনাচিকিৎসায় মৃত্যু হল। হাসাপাতাল থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে ছেলেকে। ব্যারাকপুরের পুরপ্রশাসক উত্তম দাস জানিয়েছেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে

বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু, উত্তপ্ত মানিকতলা

publive-image শুক্রবার মানিকতলা এলাকায় পুলিশের টহল। ছবি- শশী ঘোষ

এক মহিলার বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল মানিকতলা। রাস্তা অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলরের বাড়িতে ইটবৃষ্টি সবই চলল। স্থানীয়দের দাবি, এক মাস আগে এভাবেই বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, পুষ্প বর্মা(৪৭) লাইটপোস্টের ছেঁড়া তারের সংস্পর্শে আসায় বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হন। তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠি চার্জ করতে পুলিশকে। এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে উত্তেজিন জনতা।

আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে

কোভিড মুক্ত হয়েও হাসপাতালে তিনজন

tripura covid cases, ত্রিপুরা, করোনা ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বিপত্তি। অ্যাম্বুলেন্স না মেলায় চিকিৎসক ছুটি দিলেও একদিনের বেশী হাসপাতালেই আটকে থাকতে হল তিন জন করোনামুক্ত রোগীকে। হাওড়ার টি এল জয়সওয়াল হাসপাতালে সুস্থ ওই তিনজনের রাত কাটল কোভিড আক্রান্তদের সঙ্গেই। শেষমেশ শুক্রবার দীর্ঘ টালবাহানার পরে অ্যাম্বুলেন্স পেয়ে বাড়ির পথ ধরেন তাঁরা। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁদের রেহাই মেলে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জয়সওয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রতন চট্টোপাধ্যায়, প্রশান্ত দেব এবং নবকুমার বোধককে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় ছুটি দিয়ে দেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের জানানো হয় অ্যাম্বুলেন্স এলেই বাড়ি যেতে পারবেন তাঁরা। তিন জন রোগীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সারা দিন অপেক্ষা করলেও আসেনি অ্যাম্বুলেন্স। বারে বারে পুরসভা, সরকারি কোভিড হেল্প লাইন, জেলা স্বাস্থ্য দফতরে ফোন করেও কোনও সাহায্য মেলেনি। শেষ পর্যন্ত নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা ভিডিও রেকর্ডিং করে প্রকাশ করলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে

কলেজ ভর্তি ফি, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় বিভ্রান্তি

publive-image ভর্তির ফি কী ভাবে ফেরত পাওয়া যাবে তা নিয়ে বিভ্রান্ত পড়ুয়া মহল।

কলেজ ফি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণায় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। ১০ আগস্ট থেকে রাজ্যে স্নাতক স্তরে ভর্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩ আগস্ট হঠাৎই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, করোনা আবহে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের টাকা নিতে পারবে না। কিন্তু যাঁরা এই তিন দিন ভর্তির ফর্ম তুলে ফেলেছে এমনকি টাকাও জমাও দিয়েছে তাদের কী হবে। শুক্রবার সকাল থেকেই এমনই বিভ্রান্তির মাঝে পড়েছে একাধিক পড়ুয়া। কীভাবে টাকা ফেরত পাবে তাও জানা নেই। তবে বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে করা হলে তিনি সেভাবে স্পষ্ট উত্তর দেননি। প্রথম থেকেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের এক নির্দেশে বলা হয়েছিল, অনলাইন আবেদনে নথি আপলোড করার জন্য যে টাকা পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া হবে তা ১৫০ টাকার বেশি হবে না। কিন্তু গতকাল পার্থবাবু বলেন,‘‘ভর্তির ফর্ম, প্রসপেক্টাসের জন্য এ বছর কোনও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ই কোনও টাকা নিতে পারবে না।’’ শুক্রবার সকালে ভর্তি পক্রিয়া নিয়ে বেশ কিছু কলেজকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

kolkata police partha chatterjee Howrah corona
Advertisment