বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল চারজনের। একটি ঘটনা আলিপুর চিড়িয়াখানায়, অন্যটি ঘটে হাওড়ার শিবপুরে। বিশ্বভারতীর ঘটনায় সংস্কৃতিমনস্ক মানুষদের কাছে খোলা আবেদন বুদ্ধিজীবীদের। কলকাতায় ফের পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালাল বেপরোয়া গাড়ি। লকডাউনে বাংলা বনধের চেহারা।
কলকাতা ও হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত ৪
কলকাতা ও হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল চারজনের। আলিপুর চিড়িয়াখানায় হোর্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, জখম হয়েছে একজন। অন্যদিকে হাওড়ার শিবপুরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিজ্ঞাপনের বোর্ড সেটিংয়ের কাজ করছিল বেসরকারি বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মীরা। কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। একজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। হাওড়ার শিবপুরে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে হাত দিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন দুজন যুবক। লকডাউনের দিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়। চিড়িয়খানায় হাতির এনক্লোজারের সামনে লকডাউনের দিন কীভাবে বেসরকারি বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মীরা কাজ করছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষ। অন্যদিকে হাওড়ার ঘটনায় ল্যাম্পপোস্টের খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্যুৎ সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রশ্ন উঠেছে।
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
বিশ্বভারতীর ঘটনায় আবেদন শঙ্খ ঘোষ সহ
বুদ্ধিজীবীদের
ঘটনার তিন দিন পর কবি শঙ্খ ঘোষ সহ একাধিক লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনাক্রম নিয়ে বাংলার সংস্কৃতি কর্মীদের কাছে খোলা আবেদন রেখেছেন। তাঁরা ওই আবেদন লিখেছেন, শান্তিনিকেতনের ঘটনা তাঁদের ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। নানা ঘটনায় বিশ্বকবির আশ্রম রাজনীতির কাদামাখা কুস্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই অনভিপ্রেত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কোনও কায়েমি পক্ষকেই সমর্থন করছেন না বলে তাঁরা ওই আবেদনে জানিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতির অবসান চাইছেন শিল্পী, সাহিত্য়িকরা। শঙ্খ ঘোষ ছাড়া এই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন তরুণ মজুমদার, রুদ্রপ্রদাস সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, মনোজ মিত্র সহ বিশিষ্টরা।
এদিকে বিশ্বভারতীর ঘটনায় ৪ জন কনস্টেবলকে আপাতত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁরা ওই ক্যাম্পাসের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি বলে তাঁদের ক্লোজ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দেহরক্ষীকেও সরানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, এই কনস্টেবলদের অন্য কাজে ব্যবহার করা হত। বিশ্বভারতীতে পাঁচিল, গেটভাঙা ও লুটপাঠের দিন টাকার যোগান কোথা থেকে এসেছে তা খতিয়ে দখেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
পুলিশকে ধাক্কা মেরে পলাতক গাড়ি
এর আগে ইএম বাইপাসে পুলিশকে ধাক্কা মারার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেদিনও ছিল সম্পূর্ণ লকডাউন। ফের একই ঘটনার পুনুরাবৃত্তি। এবার ঘটনাস্থল ফুলবাগান। জানা গিয়েছে, তবে এবার এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে ধাক্কা মেরে গাড়ি পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই সার্জেন্টকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে গাড়ির নাম্বার চেকিং করে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, নাকা চেকিংয়ের সময় গাড়ি দাঁড় করাতে বলেন কর্তব্য়রত সার্জেন্ট। সেই সময় উল্টোডাঙ্গা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট বিশ্বজিত সাহাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় গাড়িটি। পরে পর্ণশ্রী থেকে গ্রেফতার করা হয়ে দুজনকে।
রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
লকডাউনে রাজ্যজুড়ে বনধের চেহারা
রাজ্যে করোনা পরীক্ষা বেড়েছে, আক্রান্তও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। লকডাউন বিক্ষিপ্তভাবে হলেও মাস্ক পড়ার সচেতনতা কিন্তু বৃদ্ধি পায়নি। এ সাপ্তাহের লকডাউনের প্রথম দিন রাজ্যজুড়ে বনধের চেহারা নেয়। রাস্তা-ঘাট শুনশান। রাস্তায় রাস্তায় গার্ডরেল দিয়ে গাড়ি আটকানো। তাছাড়া সর্বত্র ছিল নাকা চেকিং। ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি। এছাড়া বৃহস্পতিবারও অকারণে রাস্তায় বের হওয়ায় রাজ্যজুড়ে কান ধরে ওঠ-বস, জামা খুলিয়ে মুখ ঢাকা এসব দৃশ্য তো ছিলই। পাশাপাশি রাজ্যের কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ভাবে কয়েকটি বাজার খোলা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে সেই সব বাজার বন্ধ করা হয়। লকডাউন রয়েছে শুক্রবারও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন