২০২১ জয়ের পর ঐতিহাসিক সমাবেশ ২১ জুলাই
২১শে ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে বিধানসভার লড়াইয়ে যে মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি এদিন তাঁর বক্তব্যে আরও একবার স্পষ্ট করলেন। একনজরে মমতার বার্তা…
* ‘চক্রান্তকে দূরে ঠেলে আগামী বছর ঐতিহাসিক ফলাফলের পর ঐতিহাসিক ২১ জুলাইয়ের সভা হবে। তার প্রস্তুতি আজ থেকেই শুরু করলাম।’
* ‘১০ কোটি মানুষকে রেশন দেওয়া হচ্ছে। আগামী জুন পর্যন্ত ফ্রিতে রেশন দেব বলে ঘোষণা করেছিলাম। কোথায় এমন রাজ্য পাবেন? তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে সারা জীবন বিনা মূল্যে রেশন পাবেন।’
* ‘ভয় পাবেন না, সংক্রমণ বাড়ছে, এখন একটু বাড়বে। কিন্তু আস্তে আস্তে করোনার প্রভাব কমে যাবে। আমরা নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়েছি। ১৫ অগাস্টের মধ্যে দিনে ২৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা হবে।’
* ‘২০১৯-এ কয়েকটা আসন পেয়ে বিজেপি লম্ফঝম্প শুরু করেছে। এই অহংকারই ভাঙতে হবে।’
* ‘বিজেপিতে যারা ভুল করে চলে গিয়েছেন তারা তৃণমূলে ফিরে আসুন। সিপিএমে যারা রয়েছেন তারাও আসুন। কংগ্রেসে থেকে বিজেপি ভোট দেওয়ার থেকে তৃণমূলে আসুন।’
‘আগামী বছর মমতাকে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ
করার অনুমতি দেব’
২১ জুলাই শহিদ দিবসে ফের তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরে বড় জনসভা করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শহিদের ঘটনায় কেন দোষীদের শাস্তি হল না, কেন প্রকাশ হল না কমিশনের রিপোর্ট? বঙ্গ বিজেপির বক্তব্য, পরের বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালিঘাটের বাড়িতে বোধহয় ফিরে গেল তৃণমূল দল, মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা।
শহিদ দিবস পালন করলেও দোষীদের কেন সাজা দিতে পারছে না তৃণমূল সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস শহিদদের নিয়ে রাজনীতিতে পুঁজি করেছে। কিন্তু একজন দোষীকেও সাজা দিতে পারলেন না কেন? সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছেন, ৫ কোটি টাকা খরচের ২১ জুলাই কমিশনের কোনও রিপোর্ট প্রকাশ করার সহস কেন দেখাচ্ছে না মমতার সরকার?
ফুটবলের নক্ষত্র যোগ দিলেন বিজেপিতে
বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার মেহেতাব হোসেন। এদিন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা নেন মেহতাব। এছাড়া সঙ্গীত শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য দফতরে এই যোগদান পর্বে ছিলেন দলের সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। খেলার ময়দানে পরিচিত নাম মেহতাব হোসেনকে দলে নিয়ে বাজিমাত করল বিজেপি। কলকাতা ফুটবলের পরিচিত দুই ক্লাবেই সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন বারুইপুরের ছেলে। মোহনবাগান ক্লাবেট পরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দেন। ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিল। জাতীয় ফুটবল দলে দীর্ঘ দিন ধরে খেলেছেন। মেহেতাব মাঝ মাঠের জেনারেল বলে পরিচিত। এদিনই শহিদ দিবসে ফের রাজ্য ক্ষমতায় ফিরবেন বলে ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মেহতাব বলেছেন, "সাধারন মানুষের জন্য় কাজ করতে চাই। তাই বিজেপিতে যোগল দিলাম।"