মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জানালা দিয়ে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করোনা আক্রান্ত রোগীর। এদিকে শনিবারের লকডাউনে সেই পুরনো চিত্র। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফের বোমাবাজি। উত্তপ্ত নৈহাটি। কেন্দ্রীয় নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যকে তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র।
মেডিক্যালে 'আত্মহত্যা'র চেষ্টা করোনা আক্রান্তের
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি চারতলার জানালা দিয়ে ঝাঁপ দিয়ে 'আত্মহত্যা' করার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, জানালার কাঁচ ভাঙাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীর তৎপরতায় এ যাত্রায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে জালানার কাচের টুকরো। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদ থেকে এই কাজ করতে পারেন। এর আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে জানলা অবধি গেলেন এবং কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছিলেন তিনি।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
লকডাউনে সর্বত্র সেই চেনা দৃশ্য
অগাস্টে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও চিত্র ছিল একইরকম। রাস্তায় কড়া নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ। সর্বত্র নাকা চেকিং ছিল অব্যাহত। যাঁরা বাইরে বেরিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। কোথাও রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকিয়েছে পুলিশ। এছাড়া কোথাও মাস্ক না পড়ার জন্য, কোথাও কেন লকডাউন অমান্যকারীকে কান ধরে ওঠ-বসের দৃশ্যও এদিন ধরা পড়েছে। কোনও ক্ষেত্রে পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে দেখা গিয়েছে। তবে এদিনও কলকাতা ও অন্যত্র রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান ছিল। দোকান-পাট, অফিস-কাছারী সব ছিল বন্ধ।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
ফের বোমাবাজি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে, উত্তেজনা
ফের বোমাবাজি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। নৈহাটির বিজয়নগর ৬ নম্বর বাজার এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, নৈহাটির পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের এক সদস্যের অফিস লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। রাত ২ টো নাগাদ বোমার শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে তৃণমূল নেতা সনৎ দে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সনত দে অভিযোগ করেন, "বিজেপি বোমা মেরে আমাদের ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে। এসবে তৃণমূল ভয় পায় না।" বিজেপি নেতা সুব্রত দাসের দাবি, "তৃণমূল এসব নাটক করছে। ওরা নিজেরাই বোমা মারছে। আর অভিযোগ করছে বিজেপি বিরুদ্ধে।" এর আগের দিন ভাটপাড়া, নৈহাটি ও হালিশহরে বোমাবাজি ও গুলি চলেছে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অশান্তির জন্য তৃণমূল-বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ করছে।
আজ রাজ্যের অন্যান্য খবরগুলি পড়ুন নীচে
শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের কমিটিকে বিঁধলেন বাবুল
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সোজা বাংলায় কেন্দ্রীয় নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কড়া সোমালোচনা করেছেন। বাবুল বলেন, "আমি সোজা বাংলায় বলছি, আমাদের পশ্চিমঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, ওনার সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেস যে আইডিওলজিতে সরকার চলাচ্ছে তার ভিত্তিতে পরিস্কার জাতীয় শিক্ষা নীতি কী সেটা সম্পর্কে জানেন না। সেটা নিয়ে পড়াশুনাও হয়নি। জাতীয় শিক্ষানীতির ঘোরতর বিরোধিতা করা হবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" লোক দেখানো কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
বাবুলের অভিযোগ অমূলক বলে মন্তব্য করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ওমপ্রকাশ মিশ্র। ওমপ্রকাশবাবু বলেন,"যে কোনও সংস্কারের ভাল দিক গ্রহণীয় যা দেশের মানুষের প্রয়োজনের পরিপন্থী হবে তা বর্জনীয়। সেই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে আমরা নতুন শিক্ষানীতির খসরাটাকে মূল্যায়নের কাজ আমরা করছি। তার মাঝে বাবুল সুপ্রিয়র এই বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই। রাজ্য সরকার কোথাও বলেনি আমরা নতুন শিক্ষানীতির বিরোধিতা করব।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন