হরিয়ানা, রাজস্থান, বিহারকে পেছনে ফেলে একেবারে প্রথম স্থানটি বাগিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। না গর্ব করে বলা যায়, এমন কোনো ঘটনা নয়, দেশের মধ্যে বাল্য বিবাহের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এই রাজ্যে।
সম্প্রতি ইউনিসেফের একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হওয়া তথ্য বলছে বাংলা, বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানার মত রাজ্যে এখনও ৪০ শতাংশ বাল্য বিবাহ হয়। ইউনিসেফের হিসেব বলছে, এই হারে বাল্য বিবাহ চলতে থাকলে ২০৩০-এর মধ্যে প্রাপ্ত বয়সে পৌঁছনোর আগেই দেশে দেড় কোটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবে।
২০১৫-১৬ তে আয়োজিত ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল, রাজ্যে স্বাক্ষরতার হার বাড়ার ফলে কমে আসছে বাল্য বিবাহের হার। হিমাচল প্রদেশ এবং মণিপুরে এর ব্যতিক্রম হয়েছিল যদিও। স্বাক্ষরতার হার বাড়া সত্ত্বেও খানিকটা বেড়েছে বাল্য বিবাহ।
আরও পড়ুন, সবচেয়ে কম বিবাহ বিচ্ছেদের দেশ, কিন্তু আড়ালের গল্পটা স্বস্তি দেবে তো?
সারা দেশে ১১ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে গড়ে ১১.৯ শতাংশ বাল্য বিবাহ হয়। আর সারা দেশের মেয়েদের মধ্যে বাল্য বিবাহের হার ২৭ শতাংশ। ২০০৫-০৬ এর সমীক্ষার তুলনায় পরবর্তী ১০ বছরে যা ২০ শতাংশ কমে ৪৭ থেকে ২৭ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই হার প্রায় অনেকটাই বেশি পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যের মধ্যে আবার বাল্য বিবাহ দেওয়ার শীর্ষে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। এখানে ৩৯.৯ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যায়। শহর হিসেবে মুর্শিদাবাদের পরেই রয়েছে গুজরাতের গান্ধীনগর (৩৯.৩ শতাংশ)।
২০০৫-০৬ এর ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ, অপরিণত বয়সে মেয়েদের বিয়ে হওয়া রাজ্যের তালিকাটি ছিল এই ক্রমান্বয়ে। ১০ বছর পর বিহার, রাজস্থান, হরিয়ানায় অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়ার হার প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কমেছে মোটে ৪.৮ শতাংশ।