New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/01/Poster.jpg)
২টি পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ রাখলে আর্থিক জরিমানার নিদান। পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মহিষাদলের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী।
২টি পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ রাখলে আর্থিক জরিমানার নিদান। পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
বিজেপি করার অপরাধ। পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে খাপ পঞ্চায়েত। জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ২ পরিবারকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ গ্রামের পল্লী কমিটির মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। ২টি পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ রাখলে আর্থিক জরিমানার নিদান। পোস্টারও লাগানো হয়েছে। মহিষাদলের রঙিবসান গ্রামের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
দুই পরিবারের থেকে জানা যাচ্ছে, প্রায় ৭-৮ বছর ধরে তাঁদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। এবং ঘটনাটি সামনে এসেছে একটি পোস্টারকে কেন্দ্র করে। গ্রামের পুজো উপলক্ষে একটি পোস্টার ছড়ানো হয়েছে গ্রামে। যেখানে লেখা রয়েছে কেউ যেকোনও পুজোর প্রসাদ নিয়ে ওই ২ বাড়িতে না যান। যদি কেউ যান তাহলে তাঁদেরকেও গ্রাম কমিটি থেকে বহিস্কার করা হবে।
অভিযোগকারী পরিবারগুলোর দাবি, তাঁরা বিজেপি করেন এবং পল্লী কমিটির সদস্যরা তৃণমূল করেন। তাই তাঁদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। অভিযোগকারী পরিবার তাই দ্বারস্থ হয়েছে মহিষাদল থানার।
আরও পড়ুন ‘১ কোটি ৪০ লক্ষে দলের কাউন্সিলর পদের টিকিট বিক্রি’, বোমা ফাটালেন তৃণমূলেরই নেতা
যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে মহিষাদলের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক রং নেই। শুধু শুধু তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য কেউ কেউ করে চলেছে। গ্রাম কমিটিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ধরনের কোনও ফতোয়া জরি করা হয়নি। গ্রামের পুজোর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। যে পেরেছে দিয়েছে যে পারেনি দেয়নি। সেটা নিয়ে রাজনীতি রং চড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মহিষাদল থানার ওসি প্রলয় কুমার চন্দ্র জানান, "আমরা ঘাটনার তদন্ত করে দেখছি কে বা কারা এই ধরনের পোস্টার দিল।"