মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীতের কামড়। গত ১০ বছরে সংক্রান্তির দিনে শীতের এই ভোলবদল চোখে পড়েনি। শহর থেকে জেলা সর্বত্র ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রার পারদ। তবে তাপমাত্রা বাড়লেও ঘন কুয়াশার দাপট রয়ে গিয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও সকাল থেকেই কুয়াশার দাপট লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
মকর সংক্রান্তিতে শীতের দেখা নেই। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও বেড়ে হল ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। অন্যবার মকর সংক্রান্তিতে উত্তুরে হাওয়ার দাপটে জাঁকিয়ে শীত পড়ে। তবে এবার সেসবের বালাই নেই। সংক্রান্তির দিনেও গুমোট ভাব। তবে রবিবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার দাপট লক্ষ্য করা গিয়েছে কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে। যার জেরে ভোরের দিকে বহু রাস্তায় আলো জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন। কুয়াশার জেরে ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে।
আরও পড়ুন- আজ মকর সংক্রান্তির পুন্যস্নান, মাহেন্দ্রক্ষণ শেষে দেরি নেই, গঙ্গাসাগরে জনপ্লাবন
এদিকে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাবাস অনুযায়ী সোমবারের পর থেকে নতুন করে তাপমাত্রা কিছুটা নামতে পারে। শহর থেকে জেলা সর্বত্র সোম ও মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও খানিকটা নেমে যাওয়ার জোরালো ইঙ্গিত মিলেছে। তারই জেরে ফের এক দফায় শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। তবে মাঘের শুরুতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস মিলেছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন- হিন্দু শাস্ত্রে অসামান্য গুরুত্ব মকর সংক্রান্তির, কী বলছে শাস্ত্র?
দিন কয়েক আগেই শীতের জোরালো কামড় ছিল গোটা রাজ্যে। উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হাড় কাঁপাচ্ছিল ঠান্ডা। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ১০-এর ঘরেও নেমে গিয়েছিল। উত্তরের দার্জিলিঙের শীতের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছিল পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া। রাঢ়বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই দিন কয়েক আগেও ব্যাপক ঠান্ডা ছিল। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে মাত্র কয়েকদিনেই শীতের সেই কামড় উধাও হয়েছে।