আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ শুরু হলেও গোটা রাজ্যেই এখনও বৃষ্টির ঘাটতি রয়েই গিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এবার বেশ খানিকটা বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। সেই ঘাটতি আদৌ পূরণ হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে, কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমও বাড়ছে। সব মিলিয়ে বৃষ্টি-সুখের অভিজ্ঞতা থেকে এখনও বঞ্চিত শহর কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ।
এবার বর্ষায় গোটা রাজ্যেই বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে এবার শুরু থেকেই বরুণদেবের কৃপা ছিল। প্রাক বর্ষার বৃষ্টি যেমন হয়েছে, তেমনই বর্ষা ঢোকার পরেও ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। একটানা ভারী বৃষ্টিতে এক সময় নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়।
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের একাংশে অতি বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এছাড়াও পার্বত্য এলাকার জেলাগুলিতেও ঝেঁপে বৃষ্টি চলায় ধস জনিত সমস্যা তীব্র হয়। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চললেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার করুণ দশা রয়েই যায়।
আরও পড়ুন- ২১ জুলাই নামমাত্র গাড়ি চলেছে কলকাতায়, যাতায়াতে একমাত্র ভরসা ছিল মেট্রো
গতকাল ২১ জুলাই শহর কলকাতায় মিনিট কুড়ির বৃষ্টির পর গরম যেন আরও বেড়েছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মহানগরীতে। দক্ষিণবঙ্গে ঝেঁপে বৃষ্টির দেখা এবার কি আদৌ মিলবে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও দিতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে সপ্তাহের শেষ দিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আজ দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও দুই মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে সপ্তাহের শেষ দিকে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে দফায়-দফায় এবার বর্ষায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
যদিও গত কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা বেড়ে যায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আবহাওয়ার এই বদল উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সাময়িক। আজই দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।