বঙ্গে শীতের পথে কাঁটা ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ'। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। শনিবার ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জাওয়াদের। এর জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার জাওয়াদ আছড়ে পড়ার আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকেই রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ থাকবে। এমনকী আগামিকাল উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শনিবার থেকেই বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। শনিবার দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা শহর কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতেও।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, যাত্রী সুরক্ষায় বাতিল ৯৫টি ট্রেন
তবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। রবিবারও দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। মোটের উপর আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের রেশ থাকতে পারে বাংলায়। এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। শুক্রবার থেকেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে পুরোপুরিভাবে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আপাতত জাওয়াদের জাঁতাকলে অধরা জাঁকিয়ে শীত। ডিসেম্বরের শুরুতেও শোয়েটার, চাদর ছাড়াই ঘোরাঘুরি। তবে জাওয়াদের প্রভাব কাটলেই জাঁকিয়ে ঠান্ডার আমেজ ফিরতে পারে বাংলায়। সেই ঠান্ডা বেশ কিছুদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন