মায়ের সঙ্গেই এসেছিলেন মর্তলোকে। দেবীপক্ষের কয়েকটি দিন মর্তলোকে কাটিয়ে আবার মায়ের হাত ধরেই তিনি ফিরে গিয়েছিলেন সেই কৈলাশে। ভক্তদের কাছে ধন ও ঐশ্বর্যের দেবী রূপেই তাঁর পরিচিতি। তিনি হলেন দেবী লক্ষ্মী। আর্থিক মন্দা থেকে পরিত্রাণ লাভে তিনিই একমাত্র ভরসা। এবার কোজাগরী পূর্ণিমায় একাকী মর্তলোকে নামবেন মা লক্ষ্মী। ধন ও ঐশ্বর্য লাভ কামনায় রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন ধনদেবী পূজিতা হবেন বাঙালির ঘরে-ঘরে।
সাইনিং ইন্ডিয়া গড়তে নোটবন্দির পর লাগু হয়েছে জিএসটি। একাংশের জনগণ মোদী সরকারের এই দুই পদক্ষেপেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের একাংশ জিএসটি নিয়ে এখনও সুর চড়িয়ে চলেছেন। নোটবন্দি-জিএসটি-র পর আবার করোনাভাইরাসের ধাক্কা। টানা লকডাউনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাজার অর্থনীতি। তবে লকডাউন পার করে স্বাভাবিক ছন্দ বহুদিন আগে ফিরেছে। যদিও করোনার জেরে অর্থনৈতিক 'ক্ষত' এখনও সারেনি। বাজার অর্থনীতি সেভাবে চাঙ্গাও হয়নি।
এই আবহেই রবিবার আরও একবার ধনদেবীর আরাধনায় মাতবে বাংলা। মা লক্ষ্মীই ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি ও আর্থিক সমৃদ্ধির একমাত্র ভরসা, এই বিশ্বাসেই দেবী লক্ষ্মীর গ্ল্যামার ও জনপ্রিয়তা এখনও তুঙ্গে রয়েছে। দেবীর কৃপা লাভের প্রত্যাশায় বাংলা এখন ভাসছে লক্ষ্মী উন্মাদনায়।
আরও পড়ুন- ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর প্রথম দুর্গাপুজো কার্নিভাল, মেগা শো-য়ে রঙিন রেড রোড
বাঙালির ঘরে-ঘরে নিজের জনপ্রিয়তা অটুট রাখতে তাই মর্তলোকে আবারও আসছেন মা লক্ষ্মী। পঞ্জিকার বিষুদ্ধ মতের সময় সারণী মেনে রবিবার ভোর ৩ টে ২৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে পূর্ণিমা পড়ছে। অর্থাৎ, রবিবার ভোর থেকেই মা লক্ষ্মীর আরাধনা পর্ব শুরু করতে পারবেন মর্তবাসী। রবিবার গোটা দিন কাটিয়ে রবিবার গভীর রাত ২টো ২৫ মিনিট ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত পূর্ণিমা থাকছে। অর্থাৎ, ধনদেবীর আরাধনায় লম্বা সময় মিলবে এবার।
এদিকে, দশকর্মার সামগ্রী থেকে শুরু করে প্রতিমার দাম অথবা ফল-ফুল ও আনাজপাতি…লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন সবেরই বাজারদর বেশ চড়া। পকেট গড়ের মাঠের চেহারা নেওয়ায় লক্ষ্মী ভক্তদের অনেকে আবার মেনুতে কাটছাঁট পর্যন্ত করছেন। গ্রাম থেকে শহর, দ্রব্য মূল্যের ছেঁকায় 'ফোসকা' সর্বত্রই।