পশ্চিমবঙ্গের প্রথম করোনা আক্রান্তের চিকিৎসক পিতার সদস্য পদ খারিজ করার প্রস্তাব উঠল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এ। একইসঙ্গে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে তাঁর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হোক।
করোনা আক্রান্ত ছেলের সঙ্গে রবিবার দমদম বিমানবন্দরে দেখা করতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক পিতা। এরপর সোম এবং মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে বেশ কিছু রোগী দেখেন তিনি। ডাক্তারবাবুর ছেলের রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর বুধবার আতঙ্ক দেখা দেয় কৃষ্ণনগরে। একজন ডাক্তার হয়ে কী করে এমন কাজ করতে পারলেন, উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে কেউ কলকাতা এলে, তাঁকে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।
ছেলের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই স্বাস্থ্য দফতর এবং জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা মঙ্গলবার গভীর রাতেই ওই চিকিৎসক, তাঁর আমলা স্ত্রী এবং গাড়ির চালককে রাজারহাটের কোয়ারান্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তবে বুধবার রাতে জানা যায়, তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ।
প্রথম আক্রান্তের ডাক্তার পিতা যাঁদের চিকিৎসা করেছেন, এখনও পর্যন্ত তেমন আট জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিকিৎসকের চেম্বারে যে সহায়করা থাকেন, তাঁদের মাধ্যমেই চেষ্টা করা হচ্ছে রোগীদের তালিকা তৈরি করার। রিপোর্ট নেগেটিভ আসার আগে পর্যন্ত অত্যন্ত আতঙ্কিত ছিল কৃষ্ণনগর। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ শান্তনু সেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, "ওই চিকিৎসকের (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে) সদস্যপদ খারিজ করার প্রস্তাব দিয়েছি। মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে দাবি জানিয়েছি, প্রয়োজনে তাঁর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করা হোক"।