২০৩৫ সালের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটানোই লক্ষ্য। ফলে নতুন শিক্ষানীতির বিজ্ঞপর্তি প্রকাশ করেছে নবান্ন। নয়া শিক্ষানীতিতে ঠাঁই হয়েছে জাতীয় শিক্ষানীতির বেশ কিছু প্রস্তাবের। রাজ্যের নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর হলে প্রথামিক থেকে কলেজস্তর পর্যন্ত শিক্ষায় কী কী বদল আসতে চলছে? রইল তারই হালহদিশ-
- এক বছরের প্রি-প্রাইমারি এবং চার বছরের প্রাথমিক পাঠ্যক্রম।
- পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ প্রাথমিক পাঠ্যক্রম। নবম-দশম শ্রেণির শেষে থাকছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, অষ্টম শ্রেণি থেকে ধাপে ধাপে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে।
- একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে যে সব পড়ুয়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হবে, তারা এই নিয়মের আওতায় পড়বে। সেমেস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে প্রথম ফলাফল ঘোষণা হবে ২০২৬ সালে।
- দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম সেমেস্টার হবে নভেম্বরে, এই সেমিস্টারে এমসিকিউয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে পারে সংসদ।
- ভাবনায় স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি।
- মাতৃভাষাকেগুরুত্ব দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ইংরেজিকেও। নয়া শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করয়েছে, পড়ুয়াদের বাংলা এবং ইংরেজি পড়তেই হবে। তৃতীয় ভাষা হিসাবে বাংলা, হিন্দি এবং সংস্কৃতকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা পড়াতে হবে।
- সব পড়ুয়ার জন্য একটি 'ইউনিক আইডেন্টেটি কার্ড' তৈরি করা হবে।
- ইউনিক আইডেন্টেটি কার্ডে ওই কার্ডের সঙ্গে থাকবে মেমোরি চিপ। তাতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পডুয়াদের পরীক্ষার ফলাফল নথিবদ্ধ করা থাকবে।
- গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষকতা করতে হবে শিক্ষকদের। শিক্ষক নিয়োগের সময়ই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
- চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে রাজ্যে। ২০২৪-এর শিক্ষাবর্ষ থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে ৪ বছরের স্নাতক কোর্স। স্নাতকের পর পড়ুয়ারা সরাসরি গবেষণায় অংশ নিতে পারবেন।