গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকেই হুলস্থূলকাণ্ড। যাদবপুরে এই মুহূর্তে কোনও উপাচার্য নেই। ফলে রেজিস্ট্রারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিনের ঘটনার পর থেকে দেখা মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু'র। ফোনেও তাঁকে ধরা যাচ্ছিল না। তবে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন স্নেহমঞ্জু দেবী। তারপরই কড়া প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত প্রশ্নবাণের জেরে কেঁদে ফেলেন তিনি।
Advertisment
সোমবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৌঁছনোর পরই রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। জবাবে, রেজিস্ট্রার বলেন, 'আমি অসুস্থ ছিলাম। তাই মঙ্গলবারই মেডিক্যাল লিভ নিয়েছিলাম। চিকিৎসকের কথায় বিশ্রাম নিচ্ছিলাম বলেই ফোন বন্ধ ছিল।' এসব বলার সময়ই স্নেহমঞ্জু দেবী কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, 'আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এ আমার সন্তান চলে যাওয়ার মতো দুঃখ। আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। মঙ্গলবার থেকে মেডিক্যাল লিভের জন্য আবেদন করেছিলাম। বুধবার এই ঘটনা ঘটে। আমার ফোন বন্ধ ছিল। আমি জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয় গোপাল সরকারকে সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছিলাম। আমি বাড়ি থেকে সমস্ত রিপোর্ট নিয়েছি। এই ঘটনার পর যা যা করার সব রেজিস্ট্রারের অফিস থেকেই করা হয়েছে। আপনারা আপনাকে মাফ করুন, আমরা প্রাণ পণ চেষ্টা করব।'
যে ঘটনায় রাজ্য উত্তাল। টিভি, সংবাদ মাধ্যমে যাদবপুরের যে ঘটনা নিয়ে চর্চা চলছে। এরপরও কী এ বিষয়টি তিনি জানতে পারেননি? উত্তরে স্নেহমঞ্জু বলেন, 'হাঁটুর ব্যথা। তাই আসতে পারিনি। আজও কষ্ট করেই আসতে হয়েছে। তা ছাড়া আমার হাই প্রেসার। এই বিষয়গুলো একদম নিতে পারি না। আভ্যন্তরীণ কমিটিও তদন্ত করছে। পুলিশও তদন্ত করছে। আমি চাই, দোষীরা শাস্তি পাক।'
যাদবপুরের ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ইউজিসি। যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে তাঁর লেটার হেডে গোটা ঘটনাটির বিশদ রিপোর্ট জানাতে বলা হয়েছে। আগামী বুধবারই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে ইউজিসি-র প্রতিনিধিরা। এদিন অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক বসছে যাদবপুরের ঘটনাটি নিয়ে।