প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এর আগেও জেলার সংখ্যা বেড়েছে। ফের রাজ্যে বাড়তে চলেছে জেলা। প্রশাসনিক স্তরে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার টাউন হলে এক সভায় মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে ২৩টির বদলে ৪৬টা জেলা হতে পারে। তার জন্য অফিসার ও পরাকাঠামো দরকার বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, আমলারাই সরকারের আসল মুখ।
Advertisment
তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর জেলা পুলিশকে ভেঙে একাধিক পুলিশ কমিশনারেট হয়েছে, পুলিশ জেলা গঠিত হয়েছে। বর্ধমান জেলা পূর্ব ও পশ্চিমে দুটি নতুন জেলা হয়েছে, আলিপুরদুয়ার, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পংয়ের মতো নতুন জেলা গঠন করা হয়েছে। ফের জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামিদিনে আমাদের আরও জেলা বাড়বে। ২৩টা জেলা একদিন তো ৪৬টা জেলাও হতে পারে। বিহারে দেখুন ওদের প্রায় ৫০-৬০টা জেলা। আমাদের এখানে ভাগ করতে হবে। ভাগ করলে ম্যান পাওয়ার চাই। পরিকাঠামো চাই। পরিকাঠামো থাকলেও অফিসার নেই। তবু আমরা আশা করি কিছুটা বাড়িয়েছি। আইএএস বাড়িয়েছি।
সরকারের আসল মুখ যে আমলারা, তা-ও এদিন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোভিডের বিরদ্ধে লড়াইয়ের জন্য় আমি কৃতজ্ঞ। কোভিডে চারজন আফিসারকে আমরা হারিয়েছি। তাঁদের বয়সও অল্প ছিল। দুয়ারে সরকার, পড়ায় সমাধান, কন্যাশ্রী ননা প্রকল্পে তো রয়েছে। কোনও ছুটিও বিসিএস ও আইএএসদের নেই। আমলাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনারাই সরকারের আসল মুখ। কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে মমতা ফের অভিযোগ করেন, গত ডিসেম্বর থেকে ১০০দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। জিনিসপত্রের দাম আগুন, ১০০ দিনের টাকা না দিলে কি করে হবে।
ডব্লুবিসিএস ও আইএএসের সংখ্য়া রাজ্যে আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, বিসিএস-এ ১৬৩ পোস্ট ছিল। ৩৫০টি পোস্ট করা হয়েছে। আরও ২০০ বিসিএস অফিসারের পোস্ট বাড়াতে হবে। যাতে তাঁদের ক্য়ারিয়ার নষ্ট না হয়ে যায়। আবার নতুনরা আছে বলে পুরনোদের ক্যারিযারের দিকেএ খেয়াল রাখতে হবে। জেলা বাড়াতে হবে। অন্যদিকে সরকারে আসার আগে ৩১৪ জন আইএএস ছিল। ২০১১ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৯। ২০১৬-তে ৩৭৮। প্রয়োজন মতে আইএএস পাচ্ছি না। নতুন নতুন জেলা করতে চাই।