ছাত্র মৃত্যু কাণ্ডে যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং রুখতে অভিযুক্ত বর্তমান পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ- ৯ অগাস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকে যেসব ছাত্র ছিলেন, তাঁদের অনেকেই ওই ঘটনার বিষয়ে সঠিক বর্ণনা দেননি। ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন। কেউ কেউ আবার তদন্তকে প্রভাবিত করারও চেষ্টাও করেছেন।
রিপোর্টে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব়্যাগিং কাণ্ডে অভিযুক্ত চার জন বর্তমান পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি ২৫ জন প্রাক্তনী, যাঁরা বর্তমানে হস্টেলে রয়েছে, তাঁদেরকেও বার করে দিতে হবে। এঁদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হোক। এছাড়া ওই মামলায় নাম জড়ানো অরিত্র ওরফে 'আলু' একসঙ্গে এতদিনের সই কীভাবে করল, যাদপুর কর্তৃপক্ষকে তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।
মঙ্গলবারই এই নির্দেশই দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপটি টি এস শিবজ্ঞানম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, র্যাগিংয়ে জড়িত রয়েছেন এমন ১৫ জন পড়ুয়াকে একটি সেমেস্টার, ১১ জন পড়ুয়াকে দু’টি সেমেস্টার, পাঁচ জনকে চারটি সেমেস্টারে সাসপেন্ড করা হতে পারে। এমনকী, গবেষণা শেষের পর এক গবেষক ছাত্রকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না ক্যাম্পাসে, এমন সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।
যাদবপুর ছাত্র মৃত্যু কাণ্ডে পুলিশি তদন্ত চলছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩ জনে। পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ একটি তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্ত করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। ক্যামেরাবন্দি হয় বয়ান, উত্তর নেওয়া হয় লিখিত আকারে। তার ভিত্তিতেই এই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। সেই তদন্ত কমিটিই মঙ্গলবার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বলে উপাচার্যের কাছে। এর আগে প্রাথমিক রিপোর্টও জমা দিয়েছিল ওই কমিটি।