ফুঁসছে তিস্তা। ভয়াবহ পরিস্থিতি সমতলের তিস্তা সন্নিহিত এলাকায়। তারই মধ্যে গজলডোবা সংলগ্ন মিলনপল্লি এলাকায় ভেসে এলো তিনটি মৃতদেহ। যা নিয়েই আতঙ্ক বাড়াল নদী পাড়ে। তিস্তায় দেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে এগিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, 'এখনও পর্যন্ত তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এটা সেনা জওয়ানদেরও হতে পারে। ওদের ২৭জন তলিয়ে গিয়েছে। এখনও শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়নি।'
গজলডোবা সংলগ্ন মিলনপল্লি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন। বুধবার সকালে তিনটি দেহ নজরে আসার পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এখনও মৃতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গে চরম আতঙ্ক! মন্ত্রী-আমলাদের কী নির্দেশ মমতার?
বুধবার ভোরে উত্তর সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টির জন্য বিপুল জল ধরে রাখতে না পারায় লোনক হ্রদ ফেটে গিয়েছে। ফলে ওই হ্রদের জল তিস্তার বুক দিয়ে বইতে শুরু করেছে। এর জেরে সেই সময় সিকিমে তিস্তার জলস্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়। নদীর দু’কুল ছাপিয়ে নীচের দিকে নামতে থাকে সেই জল। জলের প্রবল বেগে তিস্তার আশপাশের কিছুই আর অক্ষত নেই। নদীর কাছাকাছি সেনাছাউনি ভেসে গিয়েছে। নিখোঁজ ছাউনির ২৩ জন সেনা জওয়ান। জলের তোড়ে ভেসে যায় সেনার ৪১টি গাড়ি। তিস্তার হড়পা বানে বহু সাধারণ মানুষও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে খবর। ভেঙে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, রাস্তা। সিকিমের সঙ্গে বাংলা তথা অবশিষ্ট ভারতের মূল সংযোগরক্ষাকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ তিস্তার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে।
তিস্তার বিপুল পরিমাণ জল ক্রমশ এগিয়ে আসছে উত্তরবঙ্গের দিকে। ফলে জলপাইগুড়ি জেলা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গেই বন্যা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সামগ্রিক ভাবে তিস্তায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।