বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়িয়েছে। গোটাটাই 'রাজনীতি' দাবি করে সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অন্যদিকে সিআইডি তদন্তেই আস্থা রেখেছেন মৃতের পরিবার। এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চাইল যে, ভিআইপিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়? ভিআইপিদের নিরাপত্তায় রুট লাইনিং, ওয়াচার্স ম্যানেজমেন্ট কী প্রক্রিয়া মেনে করা হয় তা হলফনামা দিয়ে রাজ্যকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এছাড়া পুলিশকে ইয়েলো বুক মেনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কে পথদুর্ঘটনায় ভৈরবপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইসরাফিলের মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি করেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কাতেই ইসরাফিলের প্রাণ গিয়েছে।
এরপরই শনিবার দুর্ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক দল। সেখানে গাড়ির চাকার দাগ এবং সংলগ্ন এলাকার নমুনা সংগ্রহ করে তারা। শুক্রবার অভিযুক্ত গাড়িচালক আনন্দকুমারকে গ্রেফতার করে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। তমলুক আদালত ধৃতকে ব্যক্তিগত ৫ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।
এরপরই পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠায়। এফআইআর দায়ের করে। পাল্টা সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা। আর্জি জানানো হয় তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ জারির। হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী দাবি করেন, শুভেন্দু ছিলেন প্রথম গাড়িতে। তাঁর কনভয়ের ৭ নম্বর বুলেটপ্রুফ গাড়িতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তবে মৃত্যু সবসমই দুঃখজনক।