Advertisment

লক্ষ্য সুদূর, বাংলায় পদ্মের পাপড়ি মেলতে সুকান্ত-দিলীপদের সামনে কী কৌশল বাতলালেন শুভেন্দু?

ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি নিয়ে অবশ্য সাংগঠনিক বৈঠকে ঢোক গিলেছেন বিরোধী দলনেতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bjp mla bonga swapan majumder rokto ganga

সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ

একুশের পর বাংলায় বিজেপির নির্বাচনী সাফল্য অধরা। উল্টে দলের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়েছে। পদ্ম প্রতীকে জেতা বেশ কয়েকজ বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছেন। ঘুরে দাঁড়ানোর পোশাকি চেষ্টা হলেও রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব একে ওপরকে কখনও সরাসরি, আবার কখনও নাম না করে তোপ দাগছেন। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিতর্ক। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত অধিকারীর নেতৃত্ব নিয়ে তো প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিজেপির অন্দর থেকে। এই অবস্থায় ব্যান্ডেলে চলছে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক। মূলত আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট ও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনার লক্ষ্যেই চলছে এই বৈঠক। উপস্থিত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বি এল সন্তোষও। তাঁর সামনে অবশ্য পাফাসাই বলতে দেখা গিয়েছে সুকান্ত, শুভেন্দু ও দিলীপ ঘোষকে। ঐক্যবদ্ধ দলের ছবি তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু এতে কী বদলাবে সংগঠনের হাল? সামনের পঞ্চায়েত ও লোকসভায় ভালো ফল করতে কী করতে হবে? ব্যান্ডেলের বৈঠকে সেই কৌশলই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisment

কী বলেছেন শুভেন্দু?

দল বহরে বাড়লেও শুভেন্দু অধিকারীর নজর বিজেপির মণ্ডল, বুথস্তরে। মণ্ডল ও জেলা স্তরে বিজেপির কার্যকর্তার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, দলকে ভোট রাজনীতির কথা মাথায় রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে দলীয় বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'শেষ পর্যন্ত আমরা যদি ভোটের রাজনীতিতে যাই, পঞ্চায়ে যদি জিততে চাই, ১৮ লোকসভাকে যদি ২৫-এ নিয়ে চাই… তাহলে মণ্ডল এবং বুথস্তরে শক্তি বাড়াতে হবে।'

২১য়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে সরব বিজেপি। ওই বিভৎসতার ভয় দলীয় কর্মীদের মনে এখনও দগদগে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। ভয় কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, 'আমাদের মিছিল, মিটিং হচ্ছে। লোক আসছে। কিন্তু, সেই লোকগুলোকে যদি বুথে ফিরিয়ে দেন, কাজ করতে চাইছে না। কারণ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ভয় তাঁদের মনে রয়েছে।'

গুজরাট বিধানসভায় বিপুল জয়ের প্রসঙ্গে টেনে শুভেন্দুর বার্তা, সংগঠনের মাধ্যমেই বাংলায় রাজনীতি করতে হবে। যা নিজের সমর্থন করেছেন বিএল সন্তোষও।

ডিসেম্বর ডেটলাইনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনটি তারিখ বেঁধে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যার দুটি অতিক্রান্ত। ১২ই ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে বগটুই গণহত্যার মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউচোর তুঙ্গে। ১৪ই ডিসেম্বর আসানসোলে শুভেন্দুর সভা শেষে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন তিন জন। যা নিয়ে সরব তৃণমূল। এইগুলো কী শুভেন্দুর ডেটলাইনের পরিণাম? প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসক শিবির। অস্বস্তিতে বিজেপি। ফলে দলেই সমালোচনার মুখে বিরোধী দলনেতার ডেটলাইন হুঁশিয়ারি।

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর রক্ষাকবচ উঠছে? রাজ্যের মামলার আর্জিতে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের!

ডেটলাইন প্রসঙ্গে এ দিনের দলীয় বৈঠকে দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেছেন, 'এটা আমি বলেছি। পার্টির কেউ বলেনি। দুর্নীতি নিয়ে একটা বড় অ্যাকশন হবে। সোমবারটা বুধবার হতে পারে। এটা আমরা করবই। এটা নিয়ে গেল গেল রব তোলার কোনও কারণ নেই। কর্মীদের মধ্যে এটা নিয়ে বিভ্রান্তি না-থাকা বাঞ্চনীয়।' তাহলে কী দলীয় কর্মীদের মধ্যে তাঁর হুঁশিয়ারি নিয়ে যে বিভ্রান্তি রয়েছে তা কার্যত মেনে নিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক?

আরও পড়ুন- লালন মৃত্যু মামলা: ‘FIR করে ঠিক করেছে পুলিশ’, CBI-কে চরম ভর্ৎসনা বিচারপতির

bjp dilip ghosh Suvendu Adhikari Bengal BJP Sukanta Majumder
Advertisment