পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে? তা নিয়ে নানা জল্পনা। এসবের মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব সিনহা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে বুধবারই (০৭.০৬.২০২৩) রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য প্রশানের একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। আলোচনার নির্যাস যে, আগামী এক মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কমিশন।
২০১৩ ও ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। বিরোধীদের অভিযোগের তির ছিল শাসক দল তৃণমূলের দিকে। গত দু'বারের ভোটে হিংসার স্মৃতি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বেশ কয়েক দফায় পঞ্চায়েত করানোর দাবি তুলেছে বাংলার বিরোধী প্রায় সব দলই। সেই দাবি কী মেনে নেওয়া হবে? কমিশন সূত্রে খবর, ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিশই। রাজ্যব্যাপী এক দফাতেই হতে পারে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন।
গত দেড় মাস ধরে সংগঠনের 'নবজোয়ার' কর্মসূচিতে জেলায় জেলায় ঘুরছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন যে, 'নব জোয়ার কর্মসূচির পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হবে।' ওই কর্মসূচি শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে। সেই অনুসারে আগামী জুলাই মাসের প্রথমদিকে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। রাজ্যে ভরা বর্ষার মরসুমের কথা বিবেচনা করে ৮ জুলাই দিনটিই ভোটের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভোটার তালিকা এবং জাতিগত সমীক্ষার ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন তিনি। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখে বিরোধী দলনেতার মামলা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।