ভাইফোঁটার দিনে বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি 'সেন্টার অফ অ্যাট্রাকশন'। সহদরদের পাশাপাশি 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন দলের একাধিক ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেন, প্রার্থনা করেন তাঁদের দীর্ঘায়ুর। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন এবারও দিদির আশীর্বাদ পেয়েছেন। বঙ্গ রাজনীতিতে চেনা হলেও, ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে আমন্ত্রিতদের তালিকায় দেখা যায় বেশ কয়েকটি নতুন মুখ।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ফোঁটা নিয়েও কেন এত কৌতুহল? আসলে মমতার বাড়িতে এ দিন কারা আমন্ত্রিত, আর কারা বাদ- তা দিয়ে তৃণমূলের অন্দরে রাজনৈতিক সমীকরণ বোঝার চেষ্টা হয়ে থাকে। বোঝা যায়, কোন নেতারা 'দিদি'র আস্থার বৃত্তে রয়েছেন।
২০২২ সালে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত বক্সী, ডেরেক ও'ব্রায়েন সহ আরও বেশ কয়েকজন। এবারও ফিরহাদ-ডেরেক-রা এসেছিলেন। ভাইফোঁটা নিয়ে বেরিয়ে ফিরহাদ বলেন, 'আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নয়। আমি এসেছিলাম আমার দিদির কাছে ভাইফোঁটা নিতে। প্রতি বছরই আমি আসি এই দিন দিদির কাছে। আজ কোনও রাজনীতি নয়। সারাদিন ভাইফোঁটার কারণে আনন্দের একটি দিন কাটাব। এই ধুতি-পাঞ্জাবি পরেই কাটাব।'
এছাড়াও নিমন্ত্রিতদের তালিকায় দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী এবং উলুবেড়িয়া উত্তরের বিধায়ক নির্মল মাজি-রা।
এছাড়া বরাবরের মতই এসেছিলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর 'বান্ধবী' বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভাইফোঁটায় চমক ছিলেন মুকুল রায়। সেবার ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দুপুরে সকলকে চমকে দিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে। সেবার একদা তৃণমূলের 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড'কে ফোঁটা দিয়েছিলেন মমতা। খাতায়-কলমে পদ্মে হলেও বাস্তবে তিনি কোন ফুলে রয়েছেন তা নিয়ে ঘোর বিভ্রান্তি রয়েছে। বর্তমানে মুকুল অসুস্থ। এবার আর ফোঁটার দিন তাঁকে কালীঘাটে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন- আজ ডাকা হয়নি, তাও আগবাড়িয়ে ইডি দফতরে সটান হাজির প্রাক্তন চেয়ারম্যান! কেন?